কাব্য

বিষয় অনুসারে কাব্য বিভিন্ন নামে পরিচিত হতে পারে । যেমন - মহাকাব্য, ঐতিহাসিক কাব্য, আধুনিক কাব্য, গদ্যকাব্য, পদাবলী কাব্য ইত্যাদি। কবিতা রচনা কৌশলকে কাব্যকলা বলে। রসাত্মকবাক্য-রচয়িতা, কবিতা লেখক, কবিকে কাব্যকার নামে আখ্যায়িত করা হয়।

ভাবসমৃদ্ধরস রচনাকে কাব্য বলে ।

কাব্য দুই প্রকার । যথাঃ দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য। যে কাব্য রঙ্গভূমিতে নট-নটী দ্বারা অভিনীত হয়, তাকে দৃশ্যকাব্য বলে। যে কাব্য শ্রবণ করা যায়, তাকে শ্রব্যকাব্য বলে।

শ্রব্যকাব্য তিন প্রকার। যথাঃ পদ্যময়, গদ্যময় এবং পদ্যগদ্যময়। এ সকল কাব্য আবার তিন ভাগে বিভক্ত। যথাঃ মহাকাব্য, খণ্ডকাব্য ও কোষকাব্য।

যে কাব্যে কোন দেবতা বা অসাধারণ গুণসম্পন্ন পুরুষের কিংবা একবংশোদ্ভব বহু নৃপতির সবিস্তর বিবরণ লিখিত হয়, তাকে মহাকাব্য বলে। মহাকাব্যে প্রাকৃতিক বিবিধ দৃশ্য ও পরিবর্তন বর্ণিত থাকে এবং তাতে আটটির অধিক সর্গ থাকে। যথাঃ রামায়ণ, মহাভারত, মেঘনাদবধ ইত্যাদি।

মহাকাব্য অপেক্ষা অল্পায়ত ক্ষুদ্র কাব্যকে খণ্ডকাব্য বলে। যথাঃ মেঘদূত, সীতার বনবাস, শকুন্তলা প্রভৃতি। পরস্পর নিরপেক্ষ কতকগুলি কবিতাকে কোষকাব্য বলে। যথাঃ সদ্ভাবশতক, বীরাঙ্গনা কাব্য ইত্যাদি।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.