তরল স্ফটিক ছবির পর্দা

তরল স্ফটিক ছবির পর্দা বা এলসিডি(LCD liquid crystal display) তরল রাসায়নিক পদার্থকে বিদ্যুৎপ্রবাহ দ্বারা প্রয়োজনীয় আকারে প্রদর্শন। নাম যত জটিলই হোকনা কেন বস্তুটি কিন্তু সকলেরই পরিচিত। ক্যাসিও কোম্পানির তৈরি হাত ঘড়ি ও ক্যালকুলেটরের লেখা প্রদর্শন করার মাধ্যমে এটি সবচেয়ে দ্রুত পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে মোবাইল ফোন,কম্পিউটারের মনিটর থেকে বৃহৎ আকৃতির প্রজেকশন টিভিতেও এলসিডি ব্যবহার করা হচ্ছে।

একটি অরড্যুইনো চালিত ১৬x২ এলসিডিতে লেখা "Wikipedia"
এল সি ডি স্ক্রিন সহ ক্যালকুলেটর

এটি পাতলা সমান্তরাল বৈদ্যুতিক প্রদর্শক যেটা তরল ক্রিস্টালের (liquid crystals বা LCs) আলোর পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে। কিন্তু এই এলসি সরাসরি আলো নির্গত করে না।

এগুলো নানা কাজে ব্যবহার করা যায় যেমন টেলিভিশন, টেলিফোন, বিমানের ককপিটের বিভিন্ন মিটার এর প্রদর্শক হিসেবে, সাইন, ভিডিও প্লেয়ার, গেম খেলার যন্ত্র, ডিজিটাল ঘড়ি, হাত ঘড়ি ইত্যাদি। এলসিডি সিআরটি-র পরিবর্তে বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এতে করে যেসকল যন্ত্রগুলোতে এলসিডি আছে সেগুলো আকার ছোট, ওজনে হালকা, সহজে বহনযোগ্য, কম দামি, বেশি নির্ভরযোগ্য এবং চক্ষু বান্ধব হয় এবং জনপ্রিয়তা লাভ করে। সিআরটি এবং প্লাজমার মত এগুলোর কোন আকার দিতে অসুবিধা হয় না। ফসফরাস ব্যবহার না করায় এতে রং বিকৃত হওয়ার সুযোগ নেই।

এগুলো খুবই বৈদ্যুতিক শক্তি কম ব্যবহার করে এবং এগুলির পুনঃচক্রায়ন করাও সিআরটির চেয়ে সহজ। এর বৈদ্যুতিক শক্তি কম ব্যবহার করার কারণে এগুলো ব্যটারি দ্বারা চালিত যন্ত্রগুলোতে ব্যবহার করা যায়। এলসিডি প্রযু্ক্তির বিকাশ শুরু হয় আনুমানিক ১৯৮৮ থেকে এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত এর উন্নতির পেছনে বড় কারণ তরল ক্রিস্টালের আবিষ্কার। এর ফলে বিশ্ব জুড়ে সিআরটি প্রদর্শকের উৎপাদন কমতে থাকে।

সারমর্ম

পূর্ণ ইতিহাস

  • ১৮৮৮: ফ্রেডরিক রেনিটজার (১৮৫৮–১৯২৭) আবিষ্কার করেন কোলেষ্টরলের ক্রিস্টাল প্রকৃতি গাজর থেকে। এবং তার এই আবিষ্কার প্রকাশ করেন ভিয়েতনামের রাসায়নিক সমাজের সভায় সেটা ছিল ৩রা মে, ১৯৮৮। বইয়ের নাম - F. Reinitzer: Beiträge zur Kenntniss des Cholesterins, Monatshefte für Chemie (Wien) 9, 421-441 (1888).[1]
  • ১৯০৪: ওট্টো লেহম্যানতার কাজ প্রকাশ করেন "Flüssige Kristalle" (তরল ক্রিস্টাল)।
  • ১৯১১: চালর্স মগুইন প্রথম তরল ক্রিস্টালের পাতল স্তরের পরীক্ষা।
  • ১৯২২: জর্জ ফ্রিডেল তরল ক্রিস্টালের গঠন এবং বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করেন এবং তাদেরকে তিন ভাগে ভাগ করেন - ১. নিমাটিকস, ২. স্মেটিকস ৩. কোলেস্টেরিকস
  • ১৯২৭: ভেসভোলড ফ্রেডেরিকস বৈদ্যুতিক সুইচড লাইট বাল্ব তৈরী একে ডাকা হয় Fréedericksz transition, প্রতিটি এলসিডির আবশ্যিক অংশ।
  • ১৯৩৬: মারকোনি ওয়ারলেস টেলিগ্রাফ কোম্পানি প্রথম প্যাটেন্ট করে তরল ক্রিস্টাল লাইট বাল্বের।

শূন্য শক্তির প্রদর্শক

এলসিডির মিলিটারি ব্যবহার

আমেরিকার মিলিটারিরা এলসিডিকে বেছে নেয় সিআরটির পরির্বতে কারণ এটা ছোট, হালকা এবং কার্যকরী, যদিও প্লাজমা প্রদর্শণ ব্যবহার করা হয় তাও অল্প উল্লেখ্য তাদের এম১ আব্রমস ট্যাঙ্ক। নাইট ভিশন বা রাত্রি দর্শণ যন্ত্রের দেখার জন্য ইউএস মিলিটারি এলসিডি মনিটর ব্যবহার করে যেমন- এমআইএল-এল-৩০০৯ এগুলো বেশ কঠিন মান নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে মিলিটারির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এগুলোর মধ্যে আছে এমআইএল-এসটিডি-৯০১ডি - উচ্চ ধাক্কা (সি ভেসেল), এমআইএল-এসটিডি-১৬৭বি - কম্পন (সি ভেসেল), এমআইএল-এসটিডি-৮১০এফ - বাইরের পরিবেশের অবস্থায় (মাটির গাড়ি এবং ব্যবস্থাপনায়), এমআইএল-এসটিডি-৪৬১ই/এফ - ইলেক্ট্রোমেগনেটিক ইন্টাফেস/ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইন্টারফেস।[2]

আরও দেখুন

  • এলসিডির বিভাজন
  • এলসিডির প্রস্তুতকারকদের তালিক

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

সাধারন তথ্য

টেমপ্লেট:প্রদর্শণ প্রযুক্তি

  1. Tim Sluckin: Ueber die Natur der kristallinischen Flüssigkeiten und flüssigen Kristalle (About the Nature of Crystallised Liquids and Liquid Crystals), Bunsen-Magazin, 7.Jahrgang, 5/2005
  2. LCD Monitors, in the military.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.