এয়ার ফ্রান্স

এয়ার ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে সোসাইটি এয়ার ফ্রান্স, এয়ারফ্রান্স হিসেবে প্রচলিত, ফ্রান্স পতাকাবাহী বিমান সংস্থা যার প্রধান সদর দপ্তর ফ্রান্সের ট্রেম্বলিতে (প্যারিসের দক্ষিণে) অবস্থিত । এটা এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম গ্রুপের একটি সম্পুরক এবং স্কাইটিম গ্লোবাল এয়ারলাইন জোটের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ।[2] ২০১৩ সালের হিসাবে এয়ার ফ্রান্স ফ্রান্সের ৩৬টি গন্তব্যস্থলে চলাচল সুবিধা দেয় এবং এবং বিশ্বব্যাপী ৯৩ টি দেশে ১৬৮টি গন্তব্যস্থলে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সেবা পরিচালনা করে এবং ২০১১ সালে ৫৯,৫১৩,০০০ জন যাত্রী বহন করে । এয়ার ফ্রান্স এর কর্পোরেট হেডকোয়ার্টার পূর্বে যা প্যারিসের মন্টপারন্যাসিতে ছিল তা বর্তমানে প্যারিস-চার্লস দ্য গল বিমানবন্দর, প্যারিসের উত্তরে অবস্থিত ।

এয়ার ফ্রান্স (Société Air France, S.A.)
আইএটিএ আইসিএও কলসাইন
AF AFR AIRFRANCE
প্রতিষ্ঠাকাল অক্টোবর ১৯৩৩ (1933-10-07)
হাবসমূহ
  • Paris-Charles de Gaulle Airport
  • Paris Orly Airport
শহরসমূহে ফোকাস
  • Nice Airport
  • Marseille Airport
  • Lyon Airport
নিয়মানুযায়ী উড়ান পরিকল্পনাFlying Blue
এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ
  • Première Lounge
  • Departures Lounge
  • Arrivals Lounge
  • Salon Air France
  • SkyTeam Lounge
  • Air France Lounge
এলায়েন্সSkyTeam
অধীনস্ত কোম্পানি
  • HOP!
  • Transavia France
বহরে বিমানের সংখ্যা235
গন্তব্যসমূহ204
কোম্পানির স্লোগানFrance is in the air
প্যারেন্ট কোম্পানিAir France-KLM
প্রধান কার্যালয়Roissypôle
Paris-Charles de Gaulle Airport
Tremblay-en-France, France
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি
  • Frédéric Gagey, Chairman & CEO[1]
  • Philippe Calavia, CFO
কর্মকর্তা69,553 (5 March 2014)
ওয়েবসাইটwww.airfrance.com

ইতিহাস

গঠন এবং শুরুর বছরগুলো

এয়ার ফ্রান্স ১৯৩৩ সালের ৭ অক্টোবর গঠিত হয়, এয়ার ওরিয়েন্ট, এয়ার ইউনিয়ন, ইন্টারন্যাশনাল ডি ন্যাভিগেশন কোম্পানি, জেনারেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট সোসাইটি ইত্যাদির মিলিত হওয়ার মাধ্যমে । এই এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে, জেনারেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট সোসাইটি ফ্রান্সে প্রথম বাণিজ্যিক বিমান কোম্পানি ছিল, যা এয়ারলাইন্স ফারমেন হিসেবে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । এয়ার ফ্রান্সের সংগঠক সদস্যরা ইতিমধ্যে ইউরোপ জুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে, যা উত্তর আফ্রিকার ফরাসি উপনিবেশসহ অধিকতর দূরে ।

শুরুর দিকে ইউরোপীয় শিডিউল প্রাথমিকভাবে দ্রুতগামী ডগলাস ডিসি -৩ বিমান দ্বারা পরিচালিত হয় । ১৯৪৮ সালের মধ্যে এয়ার ফ্রান্স ১৩০টি বিমান পরিচালনা করে থাকে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক বিমান পরিচালনার মধ্যে অন্যতম । ১৯৪৭ এবং ১৯৬৫ সালের মধ্যে এয়ারলাইনটি বিশ্বব্যাপী যাত্রী ও কার্গো পরিষেবার লক্ষ্যে লকহীড কনস্টালেশনস বিমান পরিচালনা করে ।

জেট ইঞ্জিন সার্ভিস

১৯৫২ সালে এয়ার ফ্রান্স এর অপারেশন ও প্রকৌশল বেস নতুন প্যারিসের অর্লি এয়ারপোর্টের দক্ষিণ টার্মিনালে স্থানান্তর করে । ততদিনে এর নেটওয়ার্ক ২৫০,০০০ কি.মি. তে বিস্তৃত হয়েছে । এয়ার ফ্রান্স ১৯৫৩ সালে জেট সার্ভিস শুরু করে, স্বল্পস্থায়ী ডি হ্যাভিলান্ড কমেট সিরিজ ১, বিশ্বের প্রথম জেটলাইনারের মাধ্যমে ।

পরিচয় এবং কর্পোরেট বিষয়সমূহ

সদর দফতর

এয়ার ফ্রান্সের প্রধান কার্য্যালয়সমূহ প্যারিস শহরের কাছাকাছি, প্যারিস-চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরের রোইসিপোল কমপ্লেক্স, ট্রেম্বলি-ইন-ফ্রান্স এর কমিউন এ অবস্থিত ।

বিদেশি শাখাসমূহ

নিওইয়র্ক এর ম্যানহাটান এবং ইংল্যান্ডের হাটান ক্রস সহ বিভিন্ন দেশে এয়ার ফ্রান্সের শাখা অফিস রয়েছে ।

গন্তব্যস্থলসমূহ

Air France destinations as of 2015, Cambodia and Malaysia are no longer served

এয়ার ফ্রান্স বিশ্বব্যাপী সেবা প্রদানকারী একটি পরিপূর্ণ এয়ারলাইন । এয়ার ফ্রান্সের বিমানগুলো ৩৬টি অভ্যন্তরীন গন্তব্যস্থল (ফ্রান্সের ভেতর) এবং ৬টি প্রধান মহাদেশের ৯৩টি দেশে, ১৬৮টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে (ফ্রান্সের বৈদেশিক বিভাগ এবং অঞ্চল সহ) চলাচল করে থাকে ।[3]

পরিচালিত বিমানসমূহ

এয়ারবাস, বোয়িং, কনকর্ড, ডগলাস ডিসি, ফকার, লকহীড কনস্টালেশনস, সাড এভিয়েশন, ভিকারস ভিসকাউন্ট ইত্যাদি ।

কেবিন

আন্তর্জাতিক দীর্ঘ ভ্রমনের ক্ষেত্রে এয়ার ফ্রান্স তিন রকমের কিংবা চার শ্রেণীর কেবিন অফার করে থাকে । লু প্রিমিয়ার (ফাস্ট), বিজনেজ, প্রিমিয়াম ইকোনমি এবং ইকোনমি । ইউরোপের ভেতর সংক্ষিপ্ত ও মধ্যম যাত্রার ক্ষেত্রে শেষের তিনটি কেবিন ফিচার রয়েছে ।[4]

সার্ভিসসমূহ

ভ্রমণাবস্থায় ক্যাটারিং

লা প্রিমিয়ার এর যাত্রীদের জন্য এয়ার ফ্রান্স এর প্রথম শ্রেণীর খাবার নির্বাচিত হয় গাই মার্টিন এর দ্বারা, যিনি একজন তিন তারকা রেস্তোরার শেফ । অত্যন্ত উন্নতমানের এবং সুস্বাদু খাবার এবং পানীয় এয়ার ফ্রান্স এর বিমানে ভ্রমণ অবস্থায় পরিবেশিত হয়ে থাকে । এছাড়া এয়ার ফ্রান্স এ ভ্রমনকালে সন্মানিত সকল শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য সুপেয় শ্যাম্পেন এর ব্যবস্থা রয়েছে ।

ভ্রমণাবস্থায় বিনোদন

সাধারনভাবে এয়ার ফ্রান্সের যাত্রীদের আনন্দদায়ক ভ্রমনের লক্ষ্যে অডিও, ভিডিও, মিউজিক, গেমস ইত্যাদি বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে । এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিনসহ যাত্রীদের ভ্রমনটি উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয় ।

এছাড়াও বিমানগুলোতে ২০,০০০ ফিট উঁচুতে যাত্রীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ওয়াই-ফাই সুবিধা চালু রয়েছ।[5]

উল্লেখ

  1. "Board of directors : Air France - Corporate"। Corporate.airfrance.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-০২
  2. "Air France- KLM Profile"। airfranceklm.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
  3. "Air France Announces New Destination"। eturbonews.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৫
  4. "Air France Information"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
  5. "Air France Launch Full Mobile Phone Service on Board"। caribbeannewsdigital.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০০৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.