একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম
একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) হলো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্পের অধীনে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর কর্তৃক ৬৪টি জেলা তথ্য অফিস ও ৪টি উপজেলা তথ্য অফিসের মাধ্যেমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচার কৌশলের মাধ্যমে আন্ত:ব্যক্তিক যোগযোগ সাহাপনের লক্ষে প্রচার কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
![]() | |
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ২০০৭ |
অধিক্ষেত্র | বাংলাদেশ সরকার |
সদর দপ্তর | ঢাকা ২৩.৭৭৯৮৮৩° উত্তর ৯০.৩৭৪৮২৩° পূর্ব |
নীতিবাক্য | জনগণের দোরগোড়ায় সেবা, Service @ Doorsteps |
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী |
|
সংস্থা নির্বাহীগণ |
|
মূল সংস্থা | আইসিটি বিভাগ |
ওয়েবসাইট | a2i |
তৃণমূল পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার আওতা বর্হিভূত জনগোষ্ঠীকে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র প্রদর্শণীর মাধ্যমে সরকারী সেবা সম্পর্কে অবহিতকরণ,ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রকে পরিচিতিকরণ,তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তাদের সক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য মতবিনিময়,সেবা কেন্দ্র পরিদর্শণ করে সমস্যা সম্ভাবনা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরছে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। এছাড়া একসেস টু ইনফরমেশন(এটুআই)প্রকল্পের আওতায় গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ৬৪টি জেলা তথ্য অফিস ও ৪টি উপজেলা অফিস দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে ফটোগ্রাফী এক্সিবিশন আয়োজন করে।ফটোগ্রাফী এক্সিবিশন এ নির্বাচিত ছবিগুলো বাংলাদেশ পোর্টাল সহ বিভিন্ন পোর্টালে ব্যবহ্নত হচ্ছে। এ অধিদপ্তর সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অগ্রগতি মিডিয়ার কাছে তুলে ধরতে প্রেস ব্রিফিং আযোজন করে আসছে[1]
উদ্দেশ্য
সরকারি সেবা প্রদানের প্রচলিত দৃশ্যপট বদলে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের দোরগোড়ায় সস্তায়, সহজে, দ্রুত, স্বচ্ছ ও হয়রানিমুক্ত সেবা পৌঁছে দেয়াই ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বত্র সমন্বিত ই-সেবা কাঠামো গড়ে তুলেছে। ফলে যে কোনো জায়গা থেকে জনগণ যে কোনো সময় তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সেবা গ্রহণ করতে পারছে। এতে সাধারণ মানুষের সময়, ভোগান্তি কমেছে, স্বাচ্ছন্দতা বেড়েছে এবং জনজীবন সহজ হয়েছে। মানুষের কর্মসময় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হ্ওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে দেশব্যাপী। যার কারিগরি সহায়তায় রয়েছে ইউএনডিপি। এ প্রকল্পের অধীনে প্রথম ধাপে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য উদ্যোগের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তর নিজস্ব উদ্যোগে বৃহৎ পরিসরে ই-সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এটুআই প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি নাগরিক কোনো না কোনো ই-সেবা উপভোগ করছে।
উল্লেখযোগ্য ই-সেবা কার্যক্রম
ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র (ইউআইএসসি/ইউডিসি): ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের একটি যৌথ উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউএনডিপির প্রশাসক মিস হেলেন ক্লার্ক ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সকল ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। ইউআইএসসির মূল লক্ষ্য হলো, ইউনিয়ন পরিষদকে একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। যাতে এই সব প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের মধ্যে একটি তথ্য ও জ্ঞান-ভিত্তিক দেশ প্রতিষ্ঠায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি এই সব কেন্দ্র সরকারি, বেসরকারি তথ্য ও সেবাসমূহ জনগণের কাছাকাছি নিয়ে যেতে, প্রযুক্তি বিভেদ দূও করতে ও সকল নাগরিককে তথ্য প্রবাহের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে সুদুরপ্রসারী ভূমিকা রাখতে পারে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার বা ইউডিসি প্রতিষ্ঠার ফলে সাধারণ নাগরিক এখন সহজে ও কম খরচে, ঝামেলাহীনভাবে প্রায় ৬০ ধরনের সরকারি বেসরকারি সেবা পাচ্ছে। ইউডিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ কোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং এসব সেবা প্রদান করে উদ্যোক্তারা মাসে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা আয় করছেন। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র (ইউআইএসসি) স্থাপনের মাধ্যমে সারা দেশে ৪ হাজার ৫শ ১৬ টি গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ গ্রামগুলোতে স্থাপন করা সেবাকেন্দ্র থেকে বর্তমানে প্রতিমাসে গড়ে ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন তথ্য ও সেবা গ্রহণ করতে পারছে। [2]
সুবিধা
- তথ্য
- ফরম
- নোটিশ
- পাসপোর্ট-ভিসা সংক্রান্ত তথ্য
- জাতীয় ই-তথ্যকোষ
- আইন বিষয়ক তথ্য
- চাকুরির খবর
- নাগরিকত্ব সনদপত্র
- পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল
- জমির পর্চা
- পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ
- অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
- অনলাইন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন
- ভিজিএফ-ভিজিডি তালিকা
- নাগরিক আবেদন
- কৃষি তথ্য
- স্বাস্থ্য পরামর্শ
- মোবাইল ব্যাংকিং
- কম্পিউটার প্রশিক্ষণ
- ছবি তোলা
- ইন্টারনেট ব্রাউজিং
- ইমেইল
- চাকরির তথ্য,
- কম্পোজ,
- ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংরেজি শিক্ষা,
- ভিসা আবেদন ও ট্র্যাকিং,
- ভিডিও কনফারেন্সিং,
- প্রিন্টিং,
- স্ক্যানিং,
- ফটোকপি,
- লেমিনেটিং ও অন্যান্য সরকারি তথ্য প্রাপ্তি।