উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা কৌশল
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ছড়াবার সাধারণ মাধ্যমগুলো হচ্ছে সংবাদপত্র প্রতিবেদন, সরকারী প্রতিবেদন, ইতিহাসের সংশোধন, অপবিজ্ঞান, লিফলেট, চলচ্চিত্র, সামাজিক গণমাধ্যম, বেতার, টেলিভিশন এবং পোস্টার। চিঠিপত্রের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ছড়ানো এখন কম পরিচিত যা যুক্তরাষ্ট্র গৃহযুদ্ধের সময় ছিল। বেতার ও টেলিভিশনের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা খবর, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, টক শো এর অংশ বিশেষ, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে ছড়ানো হতে পারে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা একটি নির্দিষ্ট অভীষ্ট মানবগোষ্ঠীর উপর কৌশলে প্রয়োগ করতে হয়। এটা উড়োজাহাজ থেকে ফেলা সরল লিফলেট থেকে শুরু করে কোন বিজ্ঞাপন পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত এইসব বার্তায় এই ব্যাপারে আরও তথ্য পাবার নির্দেশনা লেখা থাকে, যেমন কোন ওয়েবসাইট, হট লাইন, বা রেডিও প্রোগ্রাম ইত্যাদির নাম। এই কৌশলের মাধ্যমে বার্তাগ্রাহককে বার্তা-অনুসন্ধানীতে পরিণত করা হয়, এবং পরবর্তীতে মতদীক্ষাদান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বার্তা-সংগ্রাহককে মতাদর্শীতে পরিণত করা হয়।[1]

সামাজিক মনস্তাত্ত্বিক গবেষণাভিত্তিক বেশ কিছু কৌশকলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এগুলোর অনেকগুলোই যৌক্তিক হেত্বাভাষের মধ্যে পড়ে, যেহেতু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারকগনণ এমন কিছু দাবী ব্যবহার করেন যেগুলো কখনও কখনও বিশ্বাস উৎপাদনকারী হলেও বৈধ হয় না।
তথ্য প্রচারকারী কৌশলগুলো তখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয় যখন সেই কৌশল একই সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বার্তা প্রচারের কাজেও ব্যবহৃত হয়। কোন পদ্ধতিতে বার্তাগুলো প্রচারিত হচ্ছে তা নিয়ে অধ্যয়ন করতে হলে এই বার্তাগুলোকে চিহ্নিত করা একটি আবশ্যক পূর্বশর্ত।


তথ্যসূত্র
- Garth S. Jowett and Victoria J. O'Donnell, Propaganda & Persuasion (5th ed. 2011)