ইয়েমেনে ইসলাম
ইয়েমেনে ইসলাম প্রায় ৬৩০ সালে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জীবিত থাকা আবস্থায় আলী ইবনে আবু তালিব কর্তৃক গোড়াপত্তন করেছিল। সেই সময়কালে জনাদে (তাইজের নিকট) মসজিদ এবং সানার মহান মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। ইয়েমেন মূলত দুটি প্রধান ইসলামি ধর্মীয় গোষ্ঠীতে বিভক্ত: ৮০% সুন্নি এবং ১৫%[1][2] শিয়া। তাদের সদস্য সংখ্যা নিম্নরূপ: ৮০% প্রধানত শাফিঈ এবং অন্য সুন্নি ইসলাম ধারার অনুসারী। শিয়া ইসলামের ১৫% জাইদি মতবাদের, ২% জাফরি ও পশ্চিমা শিয়া ইসলামের ইসমাইলি মতাদর্শের। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক প্রধানত সুন্নি অঞ্চল। জায়েদিরা মূলত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে, যেখানে জাফরি উত্তর-দক্ষিণের প্রধান কেন্দ্রগুলোতে যেমন শানা এবং মরিবে বাস করে। বড় শহরগুলোতে মিশ্র সম্প্রদায় বাস করে।


উত্তর ইয়েমেনের প্রায় সবাই জায়েদিয়া শিয়া। কিন্তু ১৯৯০ সালে উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেন একীভূত হওয়ার পর দেশটি সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত হয়েছে। এখন সেখানে জায়েদিয়া প্রায় ৪০ শতাংশ। বাকিরা সুন্নি শাফেয়ি মাজহাবভুক্ত।
জনসংখ্যা
উত্তরাঞ্চলীয় ইয়েমেনের জাইদি সম্প্রদায় শতাব্দী ধরে উত্তর ইয়েমেনে রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক জীবনকে প্রভাবিত করেছিল; একীভূতকরণের সাথে সাথে দক্ষিণের প্রায় সমগ্র শাফেঈ জনগোষ্ঠীর সংযোজনের সাথে সাথে সংখ্যার ভারসাম্য জাইদিদের থেকে নাটকীয়ভাবে কমে যায়। তবুও, জাইদিরা এখনও সরকারের মধ্যে এবং বিশেষত, সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যন্তরে উত্তর ইয়েমেনী ইউনিটগুলোতে পূর্বনির্ধারিতভাবে বিদ্যমান।
সমাজ
পাবলিক বিদ্যালয়গুলো ইসলাম শিক্ষা দেয় তবে অন্যান্য ধর্মগুলো শিক্ষা দেয়া হয় না, যদিও মুসলিম নাগরিকদের এমন বেসরকারি স্কুলে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় যেখানে ইসলাম শিক্ষা দেয় হয় না। বিদ্যালয়গুলোতে মতাদর্শগত ও ধর্মীয় চরমপন্থাকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টার আশংকায় বেসরকারি ও জাতীয় বিদ্যালয়গুলোতে সরকারিভাবে অনুমোদিত পাঠ্যক্রমের বাইরে সরকার কোনও কোর্সকে অনুমতি দেয় না। কারণ সরকার উদ্বিগ্ন যে অনিয়ন্ত্রিত ধর্মীয় স্কুল আনুষ্ঠানিক শিক্ষাগত চাহিদাগুলো থেকে বিচ্যুত এবং জঙ্গি মতাদর্শকে উৎসাহিত করে। তাই সরকার ৪,৫০০-এরও বেশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে এবং অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদেরকে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
২০১১ সালে আরব বিশ্ব জুড়ে গণ অভ্যুত্থানের ফলে সেখানে তৈরি হয় এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতির সুযোগে ইরান এবং সৌদি আরব তাদের প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করে সিরিয়া বাহরাইন ও ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে। তাতে এই দুই দেশের মধ্যে আরো সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি হয়
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "Yemen Embassy in Canada"। ২০০৭-০১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২২।
- "Yemen"। atlapedia.com। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৫।