ইমতিহান (১৯৭৪-এর চলচ্চিত্র)

ইমতিহান হচ্ছে ১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়া একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিতে বিনোদ খান্না, তনুজা এবং বিন্দু মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। এই চলচ্চিত্রের কাহিনী হচ্ছে একজন আদর্শবাদী ভদ্র কলেজ শিক্ষককে নিয়ে যে তার কলেজের বখে যাওয়া ছাত্রদের সঙ্গে ভালো আচরণ করেন।[1] চলচ্চিত্রটি ১৯৬৭ সালের ব্রিটিশ চলচ্চিত্র টু স্যার উইথ লাভ দ্বারা কিছুটা অনুপ্রাণিত।[2] এবং 'ইমতিহান' এর কাহিনী স্টার প্লাসের ধারাবাহিক 'জিত' (২০০৩-২০০৪) এর উপর প্রভাব ফেলেছিলো।[3] চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছিলো নাশিক এ।

ইমতিহান
পরিচালকমদন সিনহা
প্রযোজকবি এ চন্দিরমণী
শ্রেষ্ঠাংশেবিনোদ খান্না
তনুজা
বিন্দু
সুরকারলক্ষ্মীকান্ত পিয়ারেলাল
মুক্তি
  • ৩১ মে ১৯৭৪ (1974-05-31) (ভারত)
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

কাহিনী

প্রমোদ শর্মা নামের এক যুবক আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়, ঐ প্রতিষ্ঠানের অনেক ছেলে বখে যাওয়া আছে যারা প্রমোদ সহ সব শিক্ষকের সাথে দুষ্টামি করে আর লেখাপড়ায় অমনোযোগী থাকে। প্রমোদ ভালো আচরণের মাধ্যমে ছেলেগুলোকে ঠিক করার চেষ্টা করে। রাকেশ নামের একদম বখে যাওয়া একটা ছেলে থাকে। কলেজের চেয়ারম্যানের মেয়ে রিতা প্রমোদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে, সে ঐ কলেজেরই একজন ছাত্রী থাকে, তবে প্রমোদ পাত্তা দেয়না।

প্রমোদ আবার কলেজ প্রিন্সিপালের মেয়ে মধুর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, মধু আগে এই কলেজে পড়ত। মধু আর প্রমোদের মধ্যে বন্ধুত্বটা বাড়তে থাকে। একসময় রিতা প্রমোদকে নিজের একটা জিনিস হারিয়ে গেছে বলে তাকে রাতের বেলা বাইরে নিয়ে নিজেই নিজের জামা ছিঁড়ে চিৎকার করে আর লুকিয়ে থাকা বখাটে ছেলে রাকেশ তা দেখে পরের দিন কলেজে তার বন্ধুদের নিয়ে প্রমোদকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য প্ল্যাকার্ড সহ মিছিল বের করে। প্রমোদকে কলেজ কর্তৃপক্ষ বের করে দেওয়ার সিদ্ধান নেয় এবং তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বলে, প্রমোদ চলে যাওয়ার সময় তার বান্ধবী মধু তাকে বলে যে সে জানে যে প্রমোদ নির্দোষ, প্রমোদ পরে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে কলেজ থেকে চলে যায়, তার সাথে সাথে মধুও তাকে সঙ্গ দেয়।

অভিনয়ে

  • বিনোদ খান্না - প্রমোদ শর্মা
  • মুরাদ - প্রমোদের পিতা
  • তনুজা - মধু শাস্ত্রী
  • অভি ভট্টাচার্য - এইচ পি শাস্ত্রী (মধুর বাবা এবং কলেজ প্রিন্সিপাল)
  • বিন্দু - রিতা
  • রণজিৎ

তথ্যসূত্র

  1. Bhawana Somaaya (২০০৪)। Cinema: Images and IssuesRupa & Co.। পৃষ্ঠা 103। আইএসবিএন 9788129103703।
  2. http://www.filmfare.com/features/im-not-run-of-the-mill-5492-3.html#descArticle
  3. "Copycats"Metro Plus Chennai। The Hindu। ২০০৩-১২-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-১২

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.