আহমদ সাঈদ কাজেমী
সৈয়দ আহমদ সাঈদ কাজেমী (১৯১৩ – ৪ জুন ১৯৮৬, উর্দু: سید احمد سعید کاظمی) মুলতানে বসবাসকারী একজন পন্ডিত ও সুফি। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন, কুরআনের উর্দু অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা (তাফসীর) এবং দরস-ই-হাদীসে তার অবদানের জন্য পরিচিত। তার কবরটি মুলতানের ১৮ শতকের শাহী ঈদ গাহ মসজিদের পাশে রয়েছে।
শিক্ষা
কাজেমীর যখন ছয় বছর বয়স তখন তার পিতা ৩৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাই তার বড় ভাই মুহাম্মদ খলিল কাজেমী তাকে বড় করেছিলেন। তার মা তার পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। পরে তার চাচা তাকে সনদ-এ-হাদিস এবং সুফিবাদী শিক্ষা দিয়েছিলেন।
বই
কাজেমী (رحمت اللہ علیہ) এই বইগুলো:
মিলাদুন্নবী (صل أ لله عليه وسلم)
তাওহিদ বা শিরক
হায়াতুন্নবী (صل أ لله عليه وسلم)
গুস্তাখ এ রাসুল (صل الله عليه وسلم) কি সাজা
মুলতানে হিজরত
নাফির আলম ছিলেন একজন সূফী সাধক, যিনি মুলতানে মঈন উদ্দিন চিশতী আজমেরী (রহঃ)'র উরস পালন করতেন। তিনি তরুণ আহমদ সাঈদকে মুলতানে বিতর্কের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি যখন তার বক্তব্য শোনেন, তিনি মুগ্ধ হন। তাই তিনি আহমদ সাঈদকে স্থায়ীভাবে মুলতানে স্থানান্তরিত করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সুতরাং, কাজেমী ১৯৩৫ সালের গোড়ার দিকে মুলতানে পাড়ি জমান। মুলতানে কাজেমী তিনান ওয়াল খোয়ের কাছে নিজের বাড়িতে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৩৫ সালের নভেম্বরে তিনি মসজিদ হাফিজ ফতেহ শেরের বাইরে লোহারি গেটে বক্তৃতা দেওয়া শুরু করেন, যা ১৮ বছর যাবৎ অব্যাহত ছিল। এর পরে তিনি হযরত চুপ শাহের মসজিদে দারস-এ-হাদীস শুরু করেন এবং বুখারী শরীফের পরে মিশকাত শরীফ সম্পন্ন করেন। সেই যুগে ভারতের মুসলমানরা স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছিল এবং তাদের প্রধান দলটি ছিল মুসলিম লীগ। আহমদ সাঈদ মুসলিম লীগের কর্মসূচিতে মুগ্ধ হয়েছিলেন তাই তিনি যোগ দিয়েছিলেন। দক্ষিণ পাঞ্জাবের অঞ্চলে তিনি মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার এবং তাদেরকে মুসলিম লীগের মঞ্চে আনতে কাজ করেছিলেন। তিনি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে কখনও সাক্ষাত করেন নি, তবুও তিনি মেইলের মাধ্যমে তার সাথে যুক্ত ছিলেন। ভাওয়ালপুরের নবাব ও কলাবাগের নবাবের অনুরোধে হজুর গাজ্জালী-এ- জামান ভাওয়ালপুরের ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শায়খুল হাদিসের পদ গ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি সেখানে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন।
বহিঃসংযোগ
- Audio Files
- Books by Kazmi at Kazmis.com