আলাইপায়ুদে
আলাইপায়ুদে (তামিল: அலைபாயுதே; তরঙ্গ বাহিত হচ্ছে) ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মণি রত্নম পরিচালিত একটি তামিল চলচ্চিত্র। মাধবন এবং শালিনী অভিনীত এই চলচ্চিত্রে বিবাহিত জীবনের সমস্যার আলোকপাত করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন এ. আর. রহমান।
আলাইপায়ুদে | |
---|---|
![]() আলাইপায়ুদে চলচ্চিত্রের ডিভিডি প্রচ্ছদ | |
পরিচালক | মণি রত্নম |
প্রযোজক | মণি রত্নম জি. শ্রীনিবাসন |
রচয়িতা | মণি রত্নম (সংলাপ) |
চিত্রনাট্যকার | মণি রত্নম |
কাহিনীকার | মণি রত্নম আর. সেলভারাজ |
শ্রেষ্ঠাংশে | মাধবন শালিনী |
সুরকার | এ. আর. রহমান |
চিত্রগ্রাহক | পি. সি. শ্রীরাম |
সম্পাদক | এ. শ্রীকর প্রসাদ |
পরিবেশক | মাদ্রাজ টকিজ আয়াঙ্গারান ইন্টারন্যাশনাল |
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ১৫৭ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ দৃশ্যতেই কেন্দ্রীয় চরিত্র কার্তিকের (মাধবন) এবং শক্তির (শালিনী) অতীতের কাহিনী দেখায়। কার্তিক এবং শক্তি (শালিনী) তাদের একে অপরের পিতামাতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভালোবাসার সম্পর্ক স্থাপন করে এবং বিয়ে করে। আলাইপায়ুদে চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয় এবং সাধারণ মানুষের মনেও জায়গা করে নেয় এটির সুন্দর সঙ্গীত এবং ভালো কাহিনীর জন্যে। ২০০০ সালে তামিল বক্স অফিসে ব্যাপক হিট হয়েছিল আলাইপায়ুদে।
২০০১ সালে চলচ্চিত্রটি 'বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'-এ প্রিমিয়ার হয়। ভারতের বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবি প্রদর্শনী হওয়া ছাড়াও বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে এটির প্রদর্শনী হয়। চলচ্চত্রটি তেলুগু ভাষায় অনুবাদ করে 'সখী' নামে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ২০০২ সালে আলাইপায়ুদের হিন্দি পুনর্নির্মাণ সাথিয়া মুক্তি পায় যেটি পরিচালনা করেছিলেন মণি রত্নমের সাবেক সহকারী 'শাদ আলী' এবং ওখানে বিবেক ওবেরয় এবং রাণী মুখার্জী মাধবন এবং শালিনীর চরিত্রে পুনরায় অভিনয় করেন।[1][2][3][4][5][6][7][8][9][10]
বিষয়বস্তু
কার্তিক ভরদ্বাজন (মাধবন) ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক, সে তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে একটি সফটওয়্যার কম্পানী খুলেছে । কার্তিক একদিন তার এক বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে শক্তি সেলভারাজ (শালিনী) নামের একটি মেয়েকে দেখে পছন্দ করে ফেলে, মেয়েটি মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজে পড়ে । তারা লোকাল ট্রেনে প্রায়ই মুখোমুখি হয় এবং শক্তি একসময় কার্তিককে একটু একটু পছন্দ করা শুরু করে । কার্তিক তার পিতা-মাতাকে শক্তিদের বাসায় পাঠায় বিয়ে বিষয়ে আলাপ করার জন্য, তবে কার্তিকের মা-বাবার আচরণে শক্তির মা-বাবা ক্ষুব্ধ হয় এবং কার্তিকের মা-বাবা তাদের বাসা থেকে চলে যায় । শক্তি কেরালা চলে যায়, আলাদা থাকার সময় শক্তি ও কার্তিক অনুধাবন করতে পারে যে তারা একে অপরকে কতটা ভালোবাসে । কার্তিক এবং শালিনী গোপনে পরিবারের অমতে বিয়ে করে । তবে শক্তি এবং কার্তিকের মা-বাবারা এই বিয়ে সম্বন্ধে জেনে ফেলে আর তাদেরকে একে অপরকে বাসায় ঢুকতে মানা করে । কার্তিক-শালিনী আলাদা বসবাস করা শুরু করে, তবে তারা ধীরে ধীরে টের পেয়ে যায় যে সংসার চালানো কত কষ্টের । চলচ্চিত্রের কাহিনী এভাবে এগোতে থাকে , কার্তিক একসময় শক্তিকে পাত্তা না দেওয়া শুরু করে। শক্তি বড় ধরনের মানসিক আঘাত পায় আর একদিন রাস্তায় অন্যমনষ্ক হয়ে হাঁটার সময় দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়, কার্তিক হাসপাতালে যেয়ে তাকে তার ভালোবাসা প্রকাশ করে ।
অভিনয়ে
- আর. মাধবন - কার্তিক ভরদ্বাজন
- শালিনী - শক্তি সেলভারাজ
- বিবেক - শক্তির আত্মীয়
- জয়সুধা - শক্তির মাতা
- স্বর্ণমাল্য - পূর্ণি
- অরবিন্দ স্বামী - রাম (অতিথি চরিত্র)
তথ্যসূত্র
- "rediff.com, Movies: Madhavan moves to the big screen with Mani Ratnam's Alaipayuthey."। Rediff.com। ২০০০-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-২৫।
- "Interviews with Vasundhara"। Ganeshyamala.tripod.com। ২০০০-০৪-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৮-২৫।
- Sandya Krishna। "Alaipayuthey"। Indolink.com। ২০১২-০২-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১৬।
- "Their world's a STAGE"। The Hindu। Chennai, India। ২০০৩-০৯-০৯।
- http://www.caravanmagazine.in/arts/man-steel?page=0,3
- http://www.thehindu.com/todays-paper/tp-features/tp-cinemaplus/my-first-break/article3021939.ece
- http://www.thehindu.com/todays-paper/tp-national/tp-tamilnadu/combining-romance-with-action/article3173322.ece
- http://www.thehindu.com/features/cinema/cop-in/article4508374.ece
- http://www.thehindu.com/todays-paper/tp-features/tp-cinemaplus/my-first-break/article3024009.ece
- http://www.thehindu.com/features/cinema/villages-nourish-me-alagam-perumal/article7067987.ece