আমিয়াখুম জলপ্রপাত

আমিয়াখুম মারমা ভাষায় খুম মানে হল জলপ্রপাত। পাহাড়ী নদী সাঙ্গু তার বয়ে চলার পথে অজস্রে স্থানে ছোট ছোট জলপ্রাপাতের সৃষ্টি করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আমিয়াখুম। খুম মানে হচ্ছে যেখানে পানি কখনো একেবারে শুকায় না। ঝর্নার পানি শুকাবে। কিন্তু খুমের না।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

আমিয়াখুম বান্দরবানের অসাধারণ একটি জলপ্রপাত বা ঝর্ণা। পাথর আর সবুজে ঘেরা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে প্রবল বেগে নেমে আসছে জলধারা। দুধসাদা রঙের ফেনা ছড়িয়ে তা বয়ে চলেছে পাথরের গা বেয়ে। নিমেষেই ভিজিয়ে দিচ্ছে পাশের পাথুরে চাতাল। সঙ্গে অবিরাম চলছে জলধারার পতন আর প্রবাহের শব্দতরঙ্গ।

অবস্থান

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের পাশে আমিয়াখুম জলপ্রপাতকে দেখা হচ্ছে বাংলার ভূস্বর্গ হিসেবে। কারো কারো মতে এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জলপ্রপাত। এর অবস্থান বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম নাক্ষিয়ং নামক স্থানে।[1]

ভ্রমণ

আমিয়াখুম বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম জায়গাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বান্দরবন থেকে ৭৬ কিমি দূরে থানচি হয়ে আমিয়াখুম যেতে হয়। থানচি থেকে ২টি উপায়ে আমিয়াখুম যাওয়া যায়।

এক:থানচি> রেমাক্রি> পদ্মঝিরি> থুইসাপাড়া> দেবতাপাহাড়> আমিয়াখুম

দুই:থানচি> রেমাক্রি> নাফাখুম> থুইসাপাড়া> দেবতাপাহাড়> আমিয়াখুম

প্রথম পদ্ধতিতে পদ্মঝিরিতে প্রায় ৬/৭ ঘন্টা ট্রেক করতে হয়। কখনো রাতেও ট্রেক করতে হতে পারে।

২য় উপায়ে রেমক্রি থেকে নৌকায় এবং প্রায় ২ ঘন্টায় ট্রেকিং করে থুইসাপাড়া যাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র

  1. বর্মণ, সুমন (জুলাই ১৫, ২০১৬)। "আমিয়াখুম জলপ্রপাত"kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৮ অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.