আব্বাস আলী খান
আব্বাস আলী খান (১৯১৪- ১৯৯৯) ছিলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেন[1] এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের উদ্যোগে গঠিত প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রীসভায় যোগ দেন।[2]
আব্বাস আলী খান | |
---|---|
জন্ম | ১৯১৪ |
মৃত্যু | ১৯৯৯ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | রাজনীতি |
পরিচিতির কারণ | জামায়াত-এ-ইসলামীর আমীর |
মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকান্ড
মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি পাকিস্তানের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেন এবং বংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের উদ্যোগে ১৯৭১ সালের ৩ সেপ্টেম্বার ডাঃ এ এস মালেককে গভর্নর নিয়োগ করা হয় ও তার অধীনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৭ সেপ্টেম্বার একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয় যেখানে আব্বাস আলী খান 'শিক্ষামন্ত্রী' হিসাবে নিযুক্ত হন এবং তা গ্রহণ করেন। যুদ্ধ-অব্যাহতির পর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য তিনি দালাল আইন, ১৯৭২-এর অধীনে দোষী-সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হন।[2]
স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের রাজনীতিতে
১৯৭৯ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ তাদের কর্মকান্ড শুরু করে। আব্বাস আলী খান সে সময় এর ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।
রচনাবলী
- বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস
- মাওলানা মওদূদীঃ জীবন ও কর্ম।
- একটি আদর্শবাদী দলের পতনের কারনঃ তার থেকে বাঁচার উপায়
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- "এদের চিনুন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি ও পাকিস্তানের দোসররা যা বলেছে ও করেছে"। www.genocidebangladesh.org। Bangladesh Genocide Archive। মার্চ, ২০১৫। ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - "পাকিস্তানের পক্ষে ছিল জামায়াত; একাত্তরে কী কী করেছি মনে নেই : মুজাহিদ"। দৈনিক সমকাল। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৫।