আবু সালেক (বীর প্রতীক)

আবু সালেক (জন্ম: অজানা ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

আবু সালেক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আবু সালেকের বাবার নাম আবুল হাশেম এবং মায়ের নাম মাজেদুন নেছা।

মুক্তিযুদ্ধে অবদান

আবু সালেক ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল নিজ এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে পালিয়ে ভারতে যান। সে সময় তিনি সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১৪। ভারতে গিয়ে ওমপিনগরে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তাঁকে মেলাঘরে ২ নম্বর সেক্টরে পাঠানো হয়। সেখানে ৪ বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানিতে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন। আবু সালেক কসবা এলাকায় যুদ্ধ করেন। একদিন হাবিলদার আবদুল হালিমের নেতৃত্বে তাঁরা একটি গ্রুপ মনিয়ন্দ গ্রামে গিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের সহযোগী রাজাকাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। কয়েক দিন পর তাঁরা ১০ জন আবার রাতে পাকিস্তানিদের পাকা বাংকারের কাছে গিয়ে অধিনায়কের নির্দেশে গুলি করা শুরু করেন। এর ১০ দিন পর আর একটি অপারেশনের করে তাঁরা কসবা হাইস্কুলের কাছাকাছি চন্দ্রপুর গ্রামে অবস্থান নেন। সেদিনই মধ্যরাত থেকে শুরু হয় প্রচণ্ড গোলাগুলি। একপর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর মর্টার আক্রমণে বাংকার ত্যাগ করা মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিহার্য হয়ে ওঠে। কিন্তু শত্রুপক্ষকে ব্যস্ত রাখা না গেলে কেউ বেরোতে পারবেন না। আবু সালেক তখন নিজের জীবন বাজি রেখে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রেখে সহযোদ্ধাদের অণুরোধ করলেন বাংকার থেকে বেরিয়ে যেতে। ২২ নভেম্বর চণ্ডীদ্বারবাজারসংলগ্ন খাতপাড়া গ্রামে এক যুদ্ধে মো. আবু সালেক শত্রুপক্ষের নিক্ষিপ্ত শেলের টুকরার আঘাতে আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে গৌহাটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। [1]

সম্মাননা ও স্বীকৃতি

মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন।

তথ্যসূত্র

বহি:সংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.