আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস

আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দিবস(ইংরেজীতে International Day of the World's Indigenous Peoples) প্রতিবছর ৯ আগস্ট পালন করা একটি আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসংঘ ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করে আসছে এই দিবসটি।

আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী দিবস
আনুষ্ঠানিক নামআন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী দিবস
উদযাপনবিশ্বব্যাপী
তারিখ৯ আগস্ট
পরবর্তী সময়৯ আগস্ট ২০২০
সংঘটনবার্ষিক

ইতিহাস

৫টি মহাদেশের ৪০টির বেশি দেশে বসবাসরত ৫ সহস্রাধিক আদিবাসী জনজাতি মানুষের সংখ্যা ৩০-৩৫কোটি। এদেরকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচয় প্রথম জাতি, উপজাতি, আদিবাসী, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠি, ক্ষুদ্র-জাতিসত্ত্বা পরিচয় পাওয়া যায়। তবে আদিবাসী শব্দের সুর্নিদিষ্ট সংজ্ঞা ও তাদের অধিকার নিয়ে রয়েছে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক তর্ক-বিতর্ক। জাতিসংঘে দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন আলোচনা-পর্যালোচনায় আদিবাসী সংজ্ঞা নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাআদিবাসী জাতিসত্ত্বার আত্ম-পরিচয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অধিকার সংরক্ষণের জন্য আদিবাসী ও ট্রাইবেল জনগোষ্ঠি কনভেনশন-১৯৫৭(১০৭) ও পুনসংস্করণ আদিবাসী ও ট্রাইবেল জনগোষ্ঠি কনভেনশন-১৯৮৯(১৬৯) দুটি ধারা গৃহীত হয়।

আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দিবস স্বীকৃতি

২৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দিবস International Day of the World's Indigenous Peoples বা আর্ন্তজাতিক দিবসটি পালনে ৪৯/২১৪ বিধিমালায় স্বীকৃতি পায়। আর্ন্তজাতিক দিবসটি বিশ্বের ৯০টি দেশে ৩৭০ বিলিয়ন ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও আদিবাসী প্রতিবছর ৯ আগস্ট উদযাপন করে থাকেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৯৩ সালকে আদিবাসী বর্ষদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি ও আদিবাসী জনগণ তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়, ভূমির অধিকার, অঞ্চল বা টেরিটরির অধিকার, প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার ও নাগরিক মর্যাদার স্বীকৃতি দাবীতে দিবসটি পালিত হয়। কানাডার অস্ট্রেলিয়ায় ৫২টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠি(আমাটা, বামাগা, কয়েন প্রভৃতি) বা আদিবাসী বসবাস করছে। আমেরিকায় ক্রো জাতি, আর্জেন্টিনায় কাসি জাতি।[1]

বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দিবস উদযাপন

প্রতি বছর ৯ আগস্ট আর্ন্তজাতিক দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হলেও বাংলাদেশে ২০০৪ থেকে পালিত হয়ে আসছে। মূলত, ২০০১ সালে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম গঠিত হবার পরে বেসরকারীভাবে বৃহৎকারে আর্ন্তজাতিক দিবসটি পালিত হচ্ছে। দেশের সমতলে ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর জেলাগুলিতে সাঁওতাল, গারো, শিং, ওঁরাও, মুন্ডারি, মাহাতো, রাজোয়ার, কর্মকার ও মাহালী সম্প্রদায়ের জাতিগোষ্ঠি বসবাস করছে। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরং বা ম্রো, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া,বম, খুমী ও চাক জনগোষ্ঠি বসবাস করছে। বিশ্বের তাবৎ ক্ষুদ্র ও নৃ-জনগোষ্ঠির পাশাপাশি বাংলাদেশের ৩০ লক্ষাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়, ভূমির অধিকার ও নাগরিক মর্যাদার স্বীকৃতি দাবীতে দিবসটি উদযাপন করে থাকেন। [2]

মূল উপপাদ্য

বিভিন্ন দেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা ও আদিবাসীদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় তুলে ধরার গুরুত্ব নিয়েই পালন করা হয় এই আন্তর্জাতিক দিবসটি।

চিত্রশালা

  1. International Day of the World's Indigenous Peoples 9 August
  2. আজ বিশ্ব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী দিবস ৯ আগস্ট, ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.