আতাউর রহমান বাদশা মিয়া
আতাউর রহমান বাদশা মিয়া (জন্ম: ১৯৩৬ - মৃত্যু: ২৫ মে, ১৯৯০) পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।[1]
আতাউর রহমান বাদশা মিয়া | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৬ |
মৃত্যু | ২৫ মে, ১৯৯০ সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ ![]() |
ওয়েবসাইট |
জন্ম ও শিক্ষা
আতাউর রহমান বাদশ মিয়া বর্তমান সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলহাজ আফতাব উদ্দিন আহমেদ ফরিদপুর ইউনিয়নের ৪৮ বছর পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
কর্মজীবন
তিনি নিজ খরচে মোলংবাজার জামে মসজিদ, বকসীগঞ্জ হাইস্কুলের টিনসহ বকসীগঞ্জ পুল ও আর্ক সেন্টার স্থাপন করেন। এছাড়াও মরহুম বাদশা মিয়া কর্মজীবনে অসংখ্য স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, পুল, কালভার্ট, খেলার মাঠ নির্মাণসহ অসংখ্য জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে আজীবন সম্পৃক্ত ছিলেন। যা আজও মানুষের মনে স্মরণীয় হয়ে আছে এবং থাকবে। মরহুম বাদশা মিয়া আজীবন মানুষের খাদেম হিসেবে কাজ করে গেছেন।
রাজনৈতিক জীবন
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মরহুম বাদশা মিয়ার রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত গ্রাম হতে। তার পিতা মরহুম আলহাজ আফতাব উদ্দিন আহমেদ ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এবং স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে আজীবন লিপ্ত ছিলেন। এর ফলে ফরিদপুর ইউনিয়নের মানুষের সমর্থনে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্ব্বী পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। মরহুম বাদশা মিয়া ১৯৬২ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৬৫ সালে সাদুল্লাপুর, সুন্দরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ- এই চার থানা মিলে তদানীন্তন জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকারের কেন্দ্রীয় খাদ্য ও কৃষি মস্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।[1]
মৃত্যু
১৯৯০ সালের ২৫ মে তিনি পরলোক গমন করেন।
তথ্য সূত্র
- "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব"। gaibandha.gov.bd। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।