আজমির দরগাহ আক্রমণ

আজমির দরগাহ আক্রমণ (যা আজমির দরগাহ বিস্ফোট নামেও পরিচিত) সেই ঘটনাটি ২০০৭ সালের ১১ অক্টোবর রাজস্থানের বিখ্যাত সুফী দরবেশ মঈনুদ্দীন চিশতীরর দরগাহর বাহিরে ইফতার শুরুর ঠিক পরে ঘটে। তদন্তে প্রথমত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর এ তৈয়বার[2] দিকে নজর দেওয়া হয়েছিলো, কিন্তু পরে তদন্তে জানা যায় যে আসলে এই বিস্ফোরণের পেছনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও এর প্রমুখ শাখা সংগঠন অভিনব ভারত নামক কট্টরপন্থী সগঠনের হাত আছে।[4][5] তদন্তে এও জান যায় যে ঘটনার পেছনে রয়েছে তাদের নোতা আদেশে চার জন মিলে এই স্রনত্র করে কংগ্রেসেরও বিভিন্ন বড় নেতাও জড়িত।[6]

আজমির শরীফ দরগাহ বিস্ফোট
খাজা মৈনুদ্দিন চিস্তি (রঃ)-এর দরগাহ, আক্রমণীতত স্থান
আজমির শরীফ
আজমির শরীফ (রাজস্থান)
স্থানআজমির, রাজস্থান, ভারত
২৬°২৭′২৫″ উত্তর ৭৪°৩৭′৪০″ পূর্ব
তারিখ১১ অক্টোবর ২০০৭
১৮:১২ ভাপ্রস (সাসস +৫:৩০)
লক্ষ্যখাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ)-এর দরগাহ[1]
হামলার ধরনটিফিন বাক্সের মধ্যে[2]
নিহত৩[3]
আহত১৭[2]
সন্দেহভাজন হামলাকারী দল
অভিনব ভারত,[3]

আক্রমণ

১১ অক্টোবর ২০০৭ সালে রাজস্থানের, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রঃ)-এর দরগাহ চত্বরেরর কিছুদূরেই ইফতাররত[2] জনগণেরর মধ্যে টিফিন বাক্সের ভেতর বোমা রাখা হয়।[1][7] এই বিস্ফোরণ তিন মানুষের জীবন কেড়েনেয় ও আরও সতেরো জন লোক জখম হন।[3][8] পরে বিস্ফোরণ স্থাল থেকে পুলিশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করে।[7] এর থেকে পুলিশের অণুমান যে বিস্ফোরণের জন্যে নিশ্চয় অধুনিক প্রকৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।[1]

তদন্ত

তদন্তকারীরা এই বিস্ফারণের পেছনে পাকিস্তানেরর, লস্কর এ তৈয়বার উপর সন্দেহ করে।[2] যার ফলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলি এই আক্রমণকে ভারতে বিস্তৃত সূফি মতবাদের বিরুদ্ধে ইসলামী কট্টরপন্থীদের আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করে।[7]

২২ অক্টোবর ২০১০, পাঁচ সন্দেহভাজন ভারতীয় সন্ত্রাস নির্মূলন স্কুয়াড কর্তৃক গেরেফতার হয়, তারা এই বিস্ফোরণের সাথে জড়িত ছিল। এই পাঁচ জনের চার জনই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সাথে সংযুক্ত।[9]

তথ্যসূত্র
  1. "Bomb kills two at Ajmer Sharif dargah"। Reuters। ১১ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।
  2. "Blast at Ajmer Dargah, 2 dead"। Daily News and Analysis। India। ১১ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।
  3. Koppikar, Smruti; Dasgupta, Debarshi; Hasan, Snigdha (১৯ জুলাই ২০১০)। "The Mirror Explodes"। Outlook। India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।
  4. Mohan, Vishwa (৯ জানুয়ারি ২০১১)। "Co-conspirators saw RSS man as ISI mole"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।
  5. Aseemanand links Mohan Bhagwat to terror attacks
  6. Ajmer blast accused claims Shinde forced him to name RSS chief Bhagwat
  7. Asthana; Nirmal (২০০৯)। Urban Terrorism। পৃষ্ঠা 188।
  8. Buncombe, Andrew (১২ জানুয়ারি ২০১১)। "Hindu holy man reveals truth of terror attacks blamed on Muslims"। The Independent। London। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।
  9. "Four of five Ajmer blast accused have RSS links: ATS"। The Indian Express। ১ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।

আরও দেখুন

উপরন্তু পড়ুন

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:ভারতে সন্ত্রাসী আক্রমণ (২০০১-)

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.