অপূর্ব রাগাঙ্গাল
অপূর্ব রাগাঙ্গাল (তামিল: அபூர்வ ராகங்கள், বাংলা: অভূতপূর্ব কাহিনী) ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া একটি তামিল চলচ্চিত্র, এটি কে. বলচন্দের দ্বারা পরিচালিত হয়।[1] চলচ্চিত্রটিতে কামাল হাসান, রজনীকান্ত, শ্রীবিদ্যা, নাগেশ, জয়সুধা এবং মেজর সুন্দররজন মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন।[2] কলকেন্দ্র ফিল্মসের ব্যানারে এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছিলেন ভি গোবিন্দরজন এবং জে দুরাইস্বামী। ফিল্মটির সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন এম এস বিশ্বনাথান এবং গীতিকার ছিলেন কন্নদাস।[3][4]
অপূর্ব রাগাঙ্গাল | |
---|---|
![]() ডিভিডি প্রচ্ছদ | |
পরিচালক | কৈলাস বলচন্দ |
প্রযোজক | ভি গোবিন্দরজন জে দুরাইস্বামী |
রচয়িতা | কে. বলচন্দ |
শ্রেষ্ঠাংশে | কামাল হাসান মেজর সুন্দররজন শ্রীবিদ্যা জয়সুধা নাগেশ |
সুরকার | এম এস বিশ্বনাথান |
চিত্রগ্রাহক | বি এস লোকনাথ |
সম্পাদক | এন আর কিট্টু |
প্রযোজনা কোম্পানি | কলকেন্দ্র মুভিজ |
পরিবেশক | কলকেন্দ্র মুভিজ |
মুক্তি | ১৮ আগস্ট ১৯৭৫ |
দৈর্ঘ্য | ১৪৬ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
এই ফিল্মটির কাহিনী বিক্রম-বেতালের একটি গল্পের উপর আধারিত হলেও অনেকে বলেন যে এটি ১৯৭৩ সালের ইংরেজী চলচ্চিত্র '৪০ ক্যারেট' এর অনুলিপি।[4] অপূর্ব রাগাঙ্গাল মুক্তি পাবার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল কারণ এই চলচ্চিত্রটির কাহিনীতে দেখানো হয় যে একটি ২০ বছর বয়সী ছেলে চল্লিশোর্ধ্ব নারীর প্রেমে পড়ে, যেটি ভারতের সমাজের সঙ্গে মানানসই নয়। প্রসন্ন (কামাল হাসান) ভৈরবী (শ্রীবিদ্যা) নামের এক সুন্দরী নারীর প্রেমে পড়েন অপরদিকে ভৈরবীর একমাত্র মেয়ে রঞ্জনী (জয়সুধা) প্রসন্নের বাবার প্রেমে পড়ে।[5]
১৯৭৫ সালের ১৮ আগস্ট চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়, মুক্তি পাবার পর সমালোচনা হয়েছিল অনেক কিন্তু তারপরেও এটি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পেরেছিল। এটি তিনটি 'ন্যাশনাল ফিল্ম এ্যাওয়ার্ড' এবং তিনটি 'ফিল্মফেয়ার এ্যাওয়ার্ড সাউথ' জিতেছিল। অপূর্ব রাগাঙ্গাল ১৯৮৪ সালে 'এক নায়ী প্যাহেলী' নামে হিন্দি ভাষায় আত্মপ্রকাশ করে যেখানে শ্রীবিদ্যার জায়গায় হেমা মালিনী ছিলেন এবং রজনীকান্ত এর জায়গায় হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেতা বিবেক ওবেরয় এর পিতা সুরেশ ওবেরয় অভিনয় করেন, অপরদিকে কামাল হাসান তার প্রসন্ন চরিত্রটিকে সন্দ্বীপ নামে পুনরায় ফুটিয়ে তোলেন।
কাহিনীইঙ্গিত
একদিন রাস্তায় গুন্ডাদের সঙ্গে প্রসন্ন (কামাল হাসান) এর বড় ধরনের মারামারি হয়, সে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে, তাকে ভৈরবী (শ্রীবিদ্যা) দেখতে পেয়ে তার নিজের বাসায় এনে চিকিৎসা সেবা দেয়। প্রসন্ন এবং ভৈরবী দুইজনেই এক অপরের প্রেমে পড়ে এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়, অপরদিকে ভৈরবীর সন্তান রঞ্জনী (জয়সুধা) মাহেন্দ্রানের (মেজর সুন্দররজন) প্রেমে পড়ে যে হচ্ছে প্রসন্নের বাবা। সিনেমার শেষ দিকে হঠাৎ করে ভৈরবীর হারিয়ে যাওয়া স্বামী পান্ডিয়ান (রজনীকান্ত) এসে উপস্থিত হয়।
তথ্যসূত্র
- K. S. Sivakumaran (২৪ আগস্ট ২০১১)। "Hollywood inspires Kollywood"। Daily News Sri Lanka। ২৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- "It was a small role, but people would remember him"। The Hindu। ৮ ডিসেম্বর ২০১২। ১৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- Dhananjayan 2011, পৃ. 267।
- Dhananjayan 2011, পৃ. 266।
- "Kamal Hassan turns 60: From 'Chachi 420' to 'Viswaroopam', the actor has always been a master of disguise"। CNN-IBN। ১৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
গ্রন্থপঞ্জি
- ধনঞ্জয়, G. (২০১১)। The Best of Tamil Cinema, 1931 to 2010: 1931–1976। গালাট্টা মিডিয়া।
- ধনঞ্জয়, G. (২০১৪)। Pride of Tamil Cinema: 1931 to 2013। ব্লু ওউশান পাবলিশার্স। আইএসবিএন 978-93-84301-05-7।
- রামচন্দ্রন, নামান (২০১৪) [2012]। Rajinikanth: The Definitive Biography। Penguin Books। আইএসবিএন 978-81-8475-796-5।
- "Southscope July 2010"। South Scope। জুলাই ২০১০।
- Rajinikanth 12.12.12: A Birthday Special। Kasturi & Sons Ltd। ২০১২। GGKEY:A78L0XB1B0X।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে অপূর্ব রাগাঙ্গাল
(ইংরেজি)