অপারেশন পিয়ি থায়া

অপারেশন পিয়ি থায়া (বর্মী: ပြည်သာယာ စစ်ဆင်ရေး; অপারশন সুন্দর ও পরিষ্কার জাতি) হল তাতমাদাও (মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী) এর দ্বারা রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পরিচালিত একটি সামরিক অভিযান।[4][5][6] এই অভিযানটি ১৯৯১ এবং ১৯৯২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (RSO)-এর সামরিক শক্তি সম্প্রসারণের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের রাজ্য আইন ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার পরিষদ-এর সামরিক জান্তার অধীনে সংঘটিত হয়।

অপারেশন পিয়ি থায়া
মূল যুদ্ধ: রোহিঙ্গা দ্বন্দ্ব
তারিখ১৯৯১–১৯৯২[1]
অবস্থানউত্তর রাখাইন রাজ্য;
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত
ফলাফল

বর্মীদের যুদ্ধকৌশলসংক্রান্ত পরাজয়

যুধ্যমান পক্ষ
মিয়ানমার (SLORC)

রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন


 বাংলাদেশ
(সীমান্তে খণ্ডযুদ্ধ)[2]
সেনাধিপতি
স মং মুহাম্মদ ইউনুস
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
২,০০,০০০[3]–২,৫০,০০০[1][2] বাস্তুচ্যুত
(পরে ১,৫০,০০০ জন প্রত্যাবাসন

১৯৭৮ সালের অপারেশন ড্রাগন কিং এর মত, এই সামরিক অভিযানের আনুষ্ঠানিক সরকারী ব্যাখ্যা ছিল এই যে, এই অভিযানটি আরাকান অঞ্চল থেকে তথাকথিত "বিদেশীদেরকে" বিতাড়িত করতে, এবং আরএসও বিদ্রোহীদেরকে বন্দী করতে পরিচালনা করা হচ্ছে। এর ফলে যে সহিংসতার সৃষ্টি হয়, তার ফলে দুই থেকে আড়াই লক্ষ বেসামরিক রোহিঙ্গা জনগণ তাদের নিজ বাসভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয় (বেশিরভাগই প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যায়)। কিন্তু এই সামরিক অভিযানটি আরএসও বিদ্রোহীদের আরও বেশি আক্রমণকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়, যেটা ১৯৯০ এর দশকের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।[4][6]

১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে তাতমাদাও সৈন্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে, এবং ভুলবশত বাংলাদেশী সামরিক আউটপোস্টে গুলিবর্ষণ করে, এর ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কে অল্পদিনের জন্য টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "Burma/Bangladesh: Burmese Refugees In Bangladesh - Historical Background"www.hrw.org (ইংরেজি ভাষায়)। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৮
  2. "Bangladesh Extremist Islamist Consolidation"। by Bertil Lintner। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১২
  3. Ahmed, Akbar। "The Rohingya: Myanmar's outcasts"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  4. "Bangladesh: The Plight of the Rohingya"Pulitzer Center (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  5. "Understanding and responding to the Rohingya crisis"ReliefWeb (English ভাষায়)। ২৭ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  6. Hodal, Kate (২০ ডিসেম্বর ২০১২)। "Trapped inside Burma's refugee camps, the Rohingya people call for recognition"The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.