অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার

অগ্নাশয়ের ক্যান্সার হয় যখন পাক্স্থলির পিছনের একটি গ্রন্থি অগ্নাশয়ের কোষসমূহ আনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি পিণ্ড সৃষ্টি করে। এই ক্যান্সার কোষগুলো শরীরের অন্য অংশে আক্রমণ করতে পারে[১]। অগ্নাশয়ে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে যাদের মধ্যে অগ্নাশয়ের আডেনোকারসিনোমা হয় সবচেয়ে বেশী, প্রায় ৮৫%, এবং অগ্নাশয়ের ক্যান্সার বলতে অনেক সময় এই কান্সারকেই বোঝানো হয়। আডেনোকারসিনোমার শুরু অগ্নাশয়ের সেই অংশ থেকে যা পাচক উৎসেচক তৈরী করে। আরো কিছু ধরনের ক্যান্সার যারা একসাথে বেশীরভাগ অ-আডেনোকারসিনোমার প্রতিনিধিত্ব করে এই কোষগুলো থেকে আরম্ভ হয়। শতকরা এক থেকে দুই ভাগ টিউমার মূলত নিউরএণ্ডোক্রাইন টিউমার যা অগ্নাশয়ের হরমোন তৈরী করা কোষগুলো থেকে আরম্ভ হয়। এরা অগ্নাশয়ের আডেনোকারসিনোমার চেয়ে কম আক্রমণাত্মক্নাত্মক[২]। সবচেয়ে বেশী হওয়া অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের উপসর্গ ও লক্ষনগুলো হল চামড়া হলুদ হয়ে যাওয়া, পেটে বা পিঠে ব্যাথা, ব্যাখ্যাতীত ওজন হারানো, হালকা রঙের পায়খানা, গাঢ় রঙের প্রস্রাব,অরুচি[৩]। । রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সধারনতঃ উপসর্গগুলো প্রকাশ পায় না[৩][৪] । রোগ নির্ণয় হতে হতে প্রায়শই তা দেহের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে[২][৫]। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ৪০ বছর বয়সের আগে হয় না বললেই চলে আর অগ্নাশয়ের আডেনোকারসিনোমার অর্ধেকই হয় ৭০ বছরের বেশী বয়সীদের[৪]। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিসমূহের মধ্যে আছে ধূমপান, স্থূলতা, বহুমূত্র, কিছু দুর্লভ বংশগত রোগ[৪] । প্রায় ২৫% ক্ষেত্রে ধুমপান জড়িত[৬],৫-১০% জীনগত[৪]। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার নির্ণীত হয় মেডিকেল ইমেজিং পদ্ধতি যেমন আলট্রাসনোগ্রাফি, কম্পিউটেড টমোগ্রাফি, রক্ত পরীক্ষা, কলার নমুনা পরীক্ষার (বায়োপ্সি) মাধ্যমে[৬][৭]। এই রোগকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা যায়, প্রাথমিক (স্তর ১) থেকে শেষ (স্তর ৪) পর্যন্ত[৫। সাধারনের জন্য এই রোগের স্ক্রিনিং কার্যককরী নয়[৮]। অধুমপায়ী যারা স্বাভাবিক ওজনের এবং লাল বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খায় না তাদের মধ্যে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কম[৯]। রোগ হবার সম্ভাবনা ধূমপান ছাড়ার ২০ বছর পর অধুমপায়ীর সমপর্যায়ে চলে আসে[২]। শল্য চিকিৎসা, রেদিওথেরাপি, কেমোথেরাপি, উপশমক চিকিৎসা বা সবগুলোর সমন্বয়ে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়য। চিকিৎসা মূলত ক্যান্সারের স্তরের উপর নির্ভর করে। শল্য চিকিৎসা হচ্ছে একমাত্র চিকিৎসা যা অগ্নাশয়ের আডেনোকারসিনোমা নির্মূল করতে পারে[৫],এবং নির্মূল সম্ভব না হলেও জীবনের মান উন্নত করতে পারে[৩][৫]। ব্যাথা নিরাময় এবং হজমে সাহায্যকারী ওষুধ লাগতে পারে[৫]। নির্মূলের লক্ষ্য থাকলেও উপশমক চিকিৎসা দিতে হবে[১০][১১]। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ২০১২ সালে বিশ্বে ৩৩০,০০০ মৃত্যু ঘটিয়েছে যা ক্যান্সারে মৃত্যুর সপ্তম কারন[২]।। যুক্তরাজ্যে ক্যান্সারে মৃত্যুর পঞ্চম কারন অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার[১২]।,যুক্তরাষ্ট্রে চতুর্থ[১৩][১৪]। রোগটি বেশী হয় উন্নত দেশগুলোতে, যেখানে ২০১২ সালে ৭০% অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার হয়[২]। অগ্নাশয়ের আডেনোকারসিনোমার পূর্বাভাস খুব খারাপ,রোগ নির্ণয়ের পর ২৫% রোগী এক বছর এবং ৫% পাঁচ বছর বাঁচে[২][১৫]। আগে আগে ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পাঁচ বছর বাঁচার সম্ভাবনা বেড়ে দাঁড়ায় ২০%[১৬]। নিউরএণ্ডোক্রাইন টিউমারের ক্ষেত্রে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ভালো, নির্ণয়ের পাঁচ বছর পর ৬৫%, যদিও বেঁচে থাকা নির্ভর করে ধরনের উপর[২]

ধরণ

লক্ষণ ও উপসর্গ

ঝুকিসমূহ

কারন

রোগ নিরুপণ

ধাপ

পূর্বসুরী

রোগ প্রতিরোধ এবং স্ক্রিনিং

ব্যবস্থাপনা

সম্ভাবনা

প্রাদুর্ভাব

ইতিহাস

বর্তমান অনুসন্ধান

ব্যাকরণ

আরো দেখুন

তথ্য সূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.