বমি

বমি (সংস্কৃতে বমন, ইংরাজী Vomiting, emesis) হল পাকস্থলীর মধ্যের পরিপাক-রত খাদ্যসমূহ (কঠিন বা তরল) অনৈচ্ছিকভাবে সজোরে মুখ দিয়ে বাইরে নিক্ষেপ করা। বাচ্চারা খাবার পছন্দ না হলে গলা থেকে যখন "তুলে দেয়", তা বমি নয়, উগরে দেওয়া (উদ্গার, regurgitation)। গ্যাসীয় পদার্থ উঠে এলে তাকেও বমি বলে না, তাকে বলে ঢেঁকুর বা বায়ু-উদ্গার (Belching, burping, eructation)।

গবাদি পশুর রোমন্থন (জাবর কাটা, rumination) অনেকটা বমির মত হলেও তার ঐচ্ছিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব (এবং তা শরীরস্থানগতভাবে উদ্গার কারণ এদের জটিল চতুঃপ্রকোষ্ঠ "পাকস্থলীর" প্রথম তিনটি অংশ আদতে পরিবর্তিত ইসোফেগাস/ অন্ননালী) তাই জাবর কাটাকে বমি বলেনা। গবাদি পশু ছাড়াও আরো অনেক স্তন্যপায়ী (যেমন ক্যাঙ্গারু) খাবার দ্বিতীয়বার চিবায় যাকে merycism বলে

বমি পাকস্থলি থেকে মস্তিষ্ক নানা উৎসজাত কারণে হতেপারে। মানসিক কারণে বমি অযাচিতভাবে হতে পারে বা কিছু পরিস্থিতিতে বমি উদ্রেককারী পদার্থ খেয়ে বা গলায় আঙুল ভরে কেউ যেচে বমির চেষ্টা করে (উদাঃ "Bulimia nervosa" মানসিক রোগ)। বিষপানের প্রাথমিক চিকিৎসাতেও বমি করানো হতে পারে।

বমির আগে বমিভাব (Nausea) হয়। কিন্তু বমিভাব হলেই বমি হবে এমন কোন কথা নেই।

খুব বমি বা বমি ভাব ওষুধ দিয়ে বন্ধ করা সম্ভব। তবে বমির কারণ পরিষ্কার না হলে ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ দিয়ে বন্ধ করা ঠিক নয়। বেশী পরিমাণ তরল বমিতে বেরিয়ে গেলে শরীরে জলাভাব হতে পারে তাই ইন্ট্রাভেনাস ফ্লুয়িড (শিরা দেবার তরল পদার্থ) দিতে হতে পারে।

বমির কারণ

বমির শারীরবৃত্ত

বমন প্রক্রিয়া

বমিতে নিসৃত পদার্থ

  • অম্লস্বাদ => পাকস্থলী উৎস (হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড)
  • তিক্ত স্বাদ ও পীত(হলুদ) বা হরিৎ (সবুজ) বর্ণ => ক্ষুদ্রান্ত্র উৎস (পিত্ত)
  • সদ্যভুক্ত খাদ্য => স্বাভাবিক
  • কয়েকদিন আগে খাওয়া খাবার => খাদ্যনালীর অবরোধ

বমির কুফল

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.