ট্যাবু
কোনো সমাজে ট্যাবু (taboo) হল একটি অন্তর্নিহিত নিষেধ বা ধর্মীয় বা সামাজিক বেড়াজাল অতিক্রম বা কোনো কিছুর বিরুদ্ধে নিরুৎসাহিত সাংস্কৃতিক অনুভূতি, যা খুবই বিপদজনক বা বীভৎস, বা সম্ভবত সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত পবিত্র বা অপবিত্র বিবেচনাবোধ।[1] কার্যত সকল সমাজে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা বর্তমান রয়েছে, রাষ্ট্র এবং সমাজভেদে ট্যাবুর ভিন্নতা দেখা যায়।[2] একটি তুলনামূলক ভিত্তিতে ট্যাবু হচ্ছে বাংলাদেশের সমাজে যেমনঃ প্রেম এবং যৌনতা।
উৎপত্তি
ইংরেজি ট্যাবু শব্দটি টোঙ্গান টাপু বা ফিজীও টাবু শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ নিষিদ্ধ, অননুমোদিত। ১৭৭৭ সাল থেকে এটি ইংরেজি ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে, যখন ব্রিটিশ এক্সপ্লোরার জেমস কুক টোঙ্গা পরিদর্শন করেছিলেন এবং ট্যাবুর টোঙ্গান ব্যবহার ছিল কোন জিনিস খাওয়া বা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
উদাহরণ

সিগমুন্ড ফ্রয়েড কল্পনা করেছিল যে, সমাজ গঠিত হওয়ার শুরুর দিকে অজাচার ও পিতৃহত্যা দুটি ছিল সার্বজনীন ট্যাবু। যাহোক, যদিও নরমাংশ ভোজন, দলগত হত্যাকাণ্ড এবং অজাচার অধিকাংশ সমাজে ট্যাবু, তবুও প্রাচীন রোমান মিশরে ভাই ও বোনের মধ্যে বিবাহ সংঘটিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র
- Biggs, Bruce। "Entries for TAPU [OC] Prohibited, under ritual restriction, taboo"। Polynesian Lexicon Project Online। University of Auckland। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- Encyclopædia Britannica Online. "Taboo." Encyclopædia Britannica Inc., 2012. Retrieved 21 Mar. 2012