উত্তর-রাগমোচন অসুস্থতা লক্ষণ

উত্তর-রাগমোচন অসুস্থতা লক্ষণ (পিওআইএস) হচ্ছে মুত্রজননাঙ্গের এমন একপ্রকার বিরল রোগ [1] যার উপসর্গসমূহ বীর্যপাতের পর দেখা দেয়। ফ্লু এর লক্ষণের মত (যেমন বীর্যপাতের পর জ্বর, চরম অবসাদ, পেশিতে ব্যথা, চোখ চুলকানো, নাসাস্রাব) উপসর্গ দেখা যাওয়ার পাশাপাশি এবং মেজাজ পরিবর্তন, বিরক্তভাব তৈরী, মনোযোগে বিঘ্ন ঘটা এসবকিছুই উত্তর-রাগমোচন অসুস্থতার লক্ষণ। অর্থাৎ উত্তর রাগমোচনের লক্ষণ শারীরিক এবং মানসিক দুইভাবেই প্রকাশ পায়।[2] এলক্ষণ গুলো প্রাদুর্ভাবের ৩-৭ দিন পর স্বতঃস্ফুর্তভাবেই মিলিয়ে যায়। [2] এই লক্ষণ এবং প্রাদুর্ভাবের কারণ অজানা।[3]

উত্তর-রাগমোচন অসুস্থতা লক্ষণ
বিশেষায়িত ক্ষেত্রপুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্যবিদ্যা, এলার্জি, অন্তঃক্ষরাবিদ্যা

উপসর্গ

পিওয়াইএসের লক্ষণ সমূহ হলো

  1. বীর্যপাতের পর তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষণ প্রকাশ পাবে
  2. কোনো স্থানিক বহির্যোনাঙ্গের প্রতিক্রিয়াহীনতা
  3. জৈবিক ব্যবস্থায় কোনো বিপত্তির উদ্ভব জনিত কারণে।[2]

পিওয়াইএসের লক্ষণকে "পিওয়াইএস এটাক"ও বলে,[2] এর ফলে মানসিক বিচ্যুতি, বাকহীনতা, শরীরজুড়ে পেশিতে তীব্র ব্যথা, তীব্র অবসাদ, দুর্বলতা এবং ফ্লু অথবা এলার্জির মত লক্ষণ,[4] যেমনঃ হাচিঁ দেওয়া, চোখ চুলকানো এবং নাসাস্রাব হতে পারে।[3][5][6] অধিকন্তু কিছু লক্ষণ যেমনঃ মাথাধরা, মাথাঘোরা, উদ্বিগ্নতা, পরিপাক তন্ত্রে সমস্যা, বিষন্নতা এবং যোগাযোগে, শব্দ স্মরণে রাখা, তথ্য মনে রাখা এবং সামাজিকতায় সমস্যা তৈরী হয়।[5][7] আক্রান্ত রোগী তীব্র গরম অথবা শীত অনুভব করতে পারে।[4]

এই লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে বীর্যপাতের পর কিছুক্ষণ অথবা আধাঘন্টার মধ্যেই।[5] এই লক্ষণ বেশ কিছুদিন এমনকি একসপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।[4]

কিছু মানুষে উত্তর-রাগমোচন অসুস্থতা বয়োঃসন্ধিকালীন সময়ে দেখা যায় এবং অন্যদের বিশ বছর বয়সের পরে দেখা যায়। পিওয়াইএস যদি প্রথম বীর্যপাতের পরে দেখা যায়, তবে একে প্রাথমিক প্রকার এবং জীবনের পরবর্তী কোনো দশায় দেখা দিলে তাকে দ্বিতীয় প্রকার বলে অভিহিত করা হয়।[2]

অনেক পিওআইএস রোগী সারাজীবনব্যাপি অকাল বীর্যপাত জনিত সমস্যার পাশাপাশি এক মিনিটের কম সময়ের মধ্যে যোনিতে শিশ্ন প্রবেশ করানোর পর বীর্যপাত জনিত সমস্যায় ভুগেন।[2][6]

সমার্থক নামসমুহ এবং সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য অবস্থা

উত্তর রাগমোচন অসুস্থতা লক্ষণকে (পিওআইএস) একাধিক নাম যেমন "বীর্যপাত পরবর্তী লক্ষণ" (ইংরেজি: postejaculatory syndrome)[4] "উত্তর রাগমোচন অসুস্থতা লক্ষণ" (ইংরেজি: postorgasm illness syndrome),[8] "উত্তর বীর্যপাত অসুস্থতা" (ইংরেজি: post ejaculation sickness),[9] এবং "উত্তর রাগমোচন রোগের লক্ষণ" (ইংরেজি: post orgasmic sick syndrome) সহ একাধিক নামে অভিহিত করা হয়।[1]

১৯৬০ সালে ভারতে ধাতু দোষ নামক অবস্থাটিকে প্রথম বর্ণনা করা হয়, যার সাথে পিওয়াইএসের সাদৃশ্য আছে।[8] ধারণা করা হয় এটি সংস্কৃতিমুলক মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যা দুশ্চিন্তা এবং বিষন্নতা বিরোধী ড্রাগস এবং বোধিগত স্বভাব থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।

উত্তর রতিক্রীয়া বিষন্নতা (পিসিটি) হচ্ছে রতিক্রীয়ার পর বিষন্নতা এবং উদ্বিগ্নতার অনুভুতি যা ৫ মিনিট থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। পিসিটি নারী পুরুষ উভয়তেই প্রভাব ফেলতে পারে এবং তা শুধুমাত্র যৌনক্রীয়ার পর সংগঠিত হয়। যার প্রভাব যতটা না শারীরবৃত্তীয় তার চেয়ে অনেক বেশি মনস্তাত্ত্বিক। বিপরীতক্রমে পিওয়াইএস শুধুমাত্র পুরুষে প্রভাব ফেলে এবং এর প্রভাব শারীরবৃত্তীয় ও বীর্যপাতের পর এ সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার লক্ষণ কিছু মানুষে একসপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। যদিও পিসিটি এবং পিওয়াইএস একই নয়, তবুও কিছু চিকিৎসক মনে করেন উভয় পরিস্থিতিই একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। [8]

An array of more subtle and lingering symptoms after orgasm, which do not constitute POIS, may contribute to habituation between mates. তারা সঙ্গীর প্রতি অসন্তোস, ঔদাসীন্য, যৌন হতাশা, আলস্যপনা, ক্লান্তিভাব, বিরক্ত দেখাতে পারে অথবা[10], যৌন উদ্দীপনার পর দিন বা সপ্তাহ ধরে ক্রন্দন করতে পারে। এই স্বভাবটি মানুষের শারীরবৃত্তীয় প্রজননের অংশ হতে পারে।

পদ্ধতি

পিওয়াইএসের কার্যকারণ অজানা। কিছু চিকিৎসকের মতে পিওয়াইএস স্ব-অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়ার জন্য সৃষ্টি। আবার কিছু চিকিৎসকের মতে হরমোনে ভারসাম্যহীনতা এর জন্য দায়ী। যদিও আরো অনেক কারণ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, তবে কোনোটাই সম্পুর্ণভাবে এই রোগের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারে নি।

এলার্জি অনুকল্প

একটি অনুকল্প মতে পুরুষের নিজের বীর্যে টাইপ-১ এবং টাইপ-৪ এলার্জির দরুণ পিওআইএস হতে পারে।[2][11][12] বিশেষত,

ত্রুটিপূর্ণ মুত্রনালির কোষ থেকে নির্গত শুক্র পেপটাইড নির্গত হওয়ার পর তা মুত্রনালিতে অবস্থিত উপঝিল্লীর অভ্যন্তরীণ আবরণে সংযুক্ত হয়। এই সংস্পর্শের সময় উপঝিল্লীর মধ্যকার ডেনড্রাইটিক কোষ বীর্যের এন্টিজেন অথবা শুক্র রসলে শনাক্ত করে এবং সক্রিয় হয়ে উঠে। এরপর কোষগুলো লসিকাগ্রন্থির টি-কোষ এলাকায় প্রবেশ করে যেখানে কোষগুলো শুক্র রস এন্টিজেনকে নিরীহ টি-কোষ হিসেবে প্রকাশ করে এবং অতিসংবেদ্যতা প্রতিক্রিয়া শুরু করে।

পিওআইএসের পিছনের কারণ অনুসন্ধানে আরেকটি প্রস্তাবনার মধ্যে আছে, বীর্যের প্রতি স্ব-অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া দেখানোর পাশাপাশি, বীর্যপাতের সময় সাইটোকিন নিঃসরণের কারণেও পিওয়াইএস হতে পারে।[8]

এলার্জি অনুকল্প বিতর্কিত হয়েছে এবং একটি গবেষণা মতে, পুরুষে বীর্য এলার্জির সাথে "ইমিউনোগ্লোবিন-ই- সম্পর্কযুক্ত হলেও পিওয়াইএসের জন্য মুখ্যত কারণ এটি সম্ভবত নয়।[6] A case report considered that the skin test to autologous semen was negative.[13]

হরমোন অনুকল্প

অন্য আরেকটি অনুকল্প মতে পিওয়াইএস হতে পারে হরমোন ভারসাম্যহীনতা যেমন প্রোজেস্টেরণ,টেমপ্লেট:Mcn কর্টিসল, টেস্টেস্টোরনের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার জন্য অথবা উচ্চমাত্রার প্রোলাকটিন, হাইপোথাইরোইডিসম, অথবা ডিএইচইএ হ্রাসের জন্য পিওয়াইএস হতে পারে।[14]

POIS could be caused by a defect in neurosteroid precursor synthesis. এইধরনের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন রোগীর জন্য একই চিকিৎসা কার্যকরী হবে না। Different sufferers may have different missing precursors, ultimately leading to a deficiency of the same particular neurosteroid, causing similar symptoms.টেমপ্লেট:Mcn

অন্যান্য সম্ভাবনা

পিওয়াইএস রক্তগ্লুকোজাধিক্যের[14] কারণে অথবা মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতার দরুন হতে পারে।[15]

প্রথমবারে যৌন ক্রীয়ার সাথে হাঁপানির আক্রমণের সংযোগ থাকতে পারে অথবা এটি পূর্বে বিদ্যমান হাঁপানির টানকে বাড়িয়ে দিতে পারে। রতিক্রীয়ার সময় অধিক আবেগপ্রবণ উদ্দীপনা স্বয়ংক্রিয় পরাসমবেদী স্নায়ুতন্ত্রে (parasympathetic) ভারসাম্যহীনতা তৈরী করতে পারে, যার ফলে পৃথুল কোষ (mast cell) নির্গত হতে পারে এবং তা রোগীতে যৌনক্রীয়া উত্তর হাঁপানি এবং/অথবা নাসাপ্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।[16]

এটাও সম্ভব হতে পারে যে ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ পিওআইএসের কারণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।[8]

সাম্প্রতিক সময়ে প্রবর্তিত পিওআইএসের কারণ সংক্রান্ত কোন তত্ত্বই দীর্ঘজীবনব্যাপী অকাল বীর্যপাত এর সাথে পিওআইএসের মধ্যকার সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে পারেনি।টেমপ্লেট:Mcn

রোগনির্ণয়

পিওয়াইএস নির্ণয়ের সর্বজন স্বীকৃত কোনো মানদণ্ড নেই। একটি গ্রুপ পিওআইএস নির্ণযয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে পাঁচটি নির্ণায়ক তৈরী করেছেন:

  1. এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা যায় যেমন ফ্লুয়ের মত অবস্থা তৈরি হয়, তীব্র অবসাদ এবং ক্লান্তি দেখা যায়। পেশির দুর্বলতা তৈরি হয়, মেজাজের ক্রমাগত পরিবর্তন হয় অসংলগ্ন কথাবার্তা দেখা যায়, স্মৃতি ধারণ ক্ষমতা মানুষের সাথে যোগাযোগ, মনোযোগ দেওয়া; এসব কিছুতে সমস্যা তৈরি হয়। নাসাস্রাব দেখা যায় এবং চোখ চুলকাতে পারে;
  2. রতিক্রীয়াকালীন সময়ে বীর্যপাত এবং/অথবা হস্তমৈথুন এবং অথবা স্বতঃফুর্তভাবে (ঘুমের সময়) কিছু সেকেন্ডের মধ্যে কিছু মিনিটের মধ্যে অথবা অল্প কিছু ঘন্টার মধ্যেই লক্ষণ গুলো হঠাৎ করে দেখা যেতে পারে;
  3. বীর্যপাতের পরে ৯০% ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো দেখা যায়;
  4. এই উপসর্গ দুই থেকে সাত দিনের মধ্যেই মিলিয়ে যায়;
  5. স্বতঃস্ফূর্তভাবেই উপসর্গগুলো মিলিয়ে যায়।[2]

পিওয়াইএসকে ভুলভাবে অনেকসময় রোগকল্পবায়ু (ইংরেজি: hypochondriasis) অথবা সোমাটিক সিম্পটম ডিসঅর্ডারের সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়।[4]

ব্যবস্থাপনা

এমন কোনো সর্বজন স্বীকৃত মানদণ্ড নেই, যা থেকে পিওয়াইএস নির্ণয় করা যায়। রোগীকে সম্পুর্ণভাবে পরীক্ষা করে পিওয়াইএস নির্ণয় করার চেষ্টা করা যায়, কিন্তু কার্যত সুনির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় করা দুরুহ। একবার এ অসুস্থতার পিছনের কারণ নির্ণয় করা গেলে, প্রকৃত ব্যবস্থা নেওয়া যেত। যেহেতু প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা যায় নি, তাই এর চিকিৎসায় একাধিক ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হয়।

যারা এই অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়, তারা সাধারণত যৌন ক্রীয়া[4] বিশেষত বীর্যপাত এড়িয়ে চলে,[2] or schedule it for times when they can rest and recover for several days afterwards.[5] এই ধরনের ক্ষেত্রে উত্তর রতিক্রীয়া বিষন্নতা যদি অনুমান করা হয়, তবে রোগীকে সিলেক্টিভ সেরোটনিন রিয়াপটেক ইনহিবিটর দিতে হয়।[8][15]

একজন রোগী পিওয়াইএস অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিজের অণ্ডকোষ (testicle), প্রস্তিত গ্রন্থি (prostate) এবং শুক্রথলি (seminal vesicle) অপসারণ করেন, এরফলে তিনি এ উপসর্গ থেকে সুস্থ হয়ে যান।[17]

একজন রোগীর ক্ষেত্রে ধারণা করা হয়েছিল, তার পিওয়াইএস হয়েছে সাইটোকিন নিঃসরনের জন্য। তখন তাকে বীর্যপাতের পূর্বে এবং বীর্যপাতের পর অথবা দুইদিন ধরে ননস্টেরয়েডিয়াল এন্টি-ইনফ্ল্যামেটিরী ড্রাগ দেওয়া হয়েছিল, যা তার পিওআইএসের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। একই রোগী যৌনক্রীয়া করার প্রাক্কালে রাগমোচনের ১ থেকে ২ ঘন্টা পূর্বে ডাইক্লোফেন্যাক ৭৫ মিগ্রা এবং ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রতিদিন দুইবার সেবন করতেন।[8]

একজন পিওয়াইএস রোগীর ধ্বজভঙ্গ জনিত সমস্যা এবং অকাল বীর্যপাত জনিত সমস্যা ছিল। কিন্তু সে যখন সঙ্গীর যোনিতে শিশ্নকে উত্থিত করে দীর্ঘসময় প্রবেশ করিয়ে রাখতে সক্ষম হয় এবং সঙ্গীর অভ্যন্তরেই বীর্যপাত করে সক্ষম হয়, তখন তার পিওয়াইএসের লক্ষণের তীব্রতা বহুলাংসে হ্রাস পায়। সেই রোগীটি তার ধ্বজভঙ্গ সমস্যা এবং অকাল বীর্যপাতের চিকিৎসায় ট্যাডালাফিল সেবন করেছিলেন। এর ফলে তিনি সঙ্গীর অভ্যন্তরে শিশ্ন প্রবেশ করিয়ে বীর্যপাত করতে একাধিকবার সমর্থ হন এবং তার পিওয়াইএস লক্ষণ হ্রাস পায়। এই রোগীর প্রকৃত পিওয়াইএস না হয়ে বরং তিনি ধাতু দোষে ভুগছিলেন বলে অনুমান করা হয়।[8]

দুইজন রোগীর ক্ষেত্রে ধারণা করা হয়েছিল, নিজেদেরই বীর্যের প্রতি স্ব-অনাক্রম্যতা প্রতিক্রীয়ার (auto-immune reaction) জন্য তাদের পিওয়াইএস হয়েছে। তখন তাদেরই বীর্য থেকে উৎপন্ন এলার্জি স্ব-অনাক্রম্য থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করায় সফলতা পাওয়া গিয়েছিল। তাদের তিন বছর ধরে ত্বকের নীচে ইনজেকশন দেওয়া হয়।[2] এধরনের চিকিৎসায় অনুকূলে ফল পেতে ৩ থেকে ৫ বছর লেগে যায়।[2] একটি কেসে "ইন্ট্রালামফ্যাটিক ইমিউনোথেরাপি" (Intralymphatic Immunotherapy) নামক কৌশল প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে লক্ষণের ৬০-৭০ শতাংশ উন্নত হয়। সে রোগীকে শুধুমাত্র ৫ টি ইনজেকশন দিতে হয়েছে।[18]

যেসব রোগীর পিওআইএস এর কারণ নির্ণয় করা যায় না, তাদের ক্ষেত্রে সব সময় চিকিৎসা ফলপ্রসূ হয় না। একজন রোগীর ক্ষেত্রে সমস্ত মেডিকেল টেস্ট স্বাভাবিক ছিল এবং তার ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত সকল ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও কোনো সফলতা আসেনি: ইবুপ্রফেন, ৪০০ মিঃগ্রা যখন প্রয়োজন; ট্রামাডোল ৫০ মিঃগ্রা রতিক্রিয়ার একঘন্টা পূর্বে; এবং এসকিটালোপ্রাম ১০ মিঃগ্রা, ৩ মাসের জন্য প্রতিদিন শয়নকালের সময় গ্রহণ করা হয়েছে।[14]

রোগবিদ্যা

উত্তর-রাগমোচন অসুস্থতা লক্ষণ (পিওয়াইএসের) প্রাদুর্ভাবের কারণ অজানা।[3] ইউরোপীয় অরফানেট[19] এবং মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা পিওয়াইএসকে বিরল রোগ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।[1] অনুমান করা হয়, এ রোগের যে পরিমাণ বিস্তার তার চেয়ে কমসংখ্যক তথ্যই চিকিৎসকেরা নথিবদ্ধ কর‍তে পেরেছেন।[7]

নারীতে

এটিও সম্ভাব্য যে, নারীতেও এরূপ রোগ থাকতে পারে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র একজন নারীতে এ রোগ দেখা গিয়েছে।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "Postorgasmic illness syndrome"Genetic and Rare Diseases Information Center (GARD)National Institutes of Health। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫
  2. Waldinger MD (২০১৬)। "Post-Orgasmic Illness Syndrome"। Levine S, Risen CB, Althof SE। Handbook of Clinical Sexuality for Mental Health Professionals (3rd সংস্করণ)। Routledge। পৃষ্ঠা 380। আইএসবিএন 9781317507451।
  3. Wylie KR, সম্পাদক (২০১৫)। ABC of Sexual Health। John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 75। আইএসবিএন 9781118665565।
  4. Waldinger MD, Schweitzer DH (মে ২০০২)। "Postorgasmic illness syndrome: two cases."J Sex Marital Ther.28 (3): 251–5। doi:10.1080/009262302760328280। PMID 11995603
  5. Balon R, Segraves RT, সম্পাদকগণ (২০০৫)। Handbook of Sexual Dysfunction। Taylor & Francis। আইএসবিএন 9780824758264।
  6. Jiang N, Xi G, Li H, Yin J (মার্চ ২০১৫)। "Postorgasmic illness syndrome (POIS) in a Chinese man: no proof for IgE-mediated allergy to semen."J. Sex. Med.12 (3): 840–5। doi:10.1111/jsm.12813। PMID 25630453
  7. Nguyen HM, Bala A, Gabrielson AT, Hellstrom WJ (জানুয়ারি ৬, ২০১৮)। "Post-Orgasmic Illness Syndrome: A Review"। Sexual Medicine Reviews6 (1): 11–15। doi:10.1016/j.sxmr.2017.08.006। PMID 29128269
  8. Ashby J, Goldmeier D (মে ২০১০)। "Postorgasm illness syndrome--a spectrum of illnesses."J. Sex. Med.7 (5): 1976–81। doi:10.1111/j.1743-6109.2010.01707.x। PMID 20214722
  9. Goldstein A (১০ আগস্ট ২০১১)। "Urology: Post ejaculation sickness"। AllExperts। ১৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫
  10. Burri AV, Spector TD (জুন ২০১১)। "An epidemiological survey of post-coital psychological symptoms in a UK population sample of female twins."। Twin Res Hum Genet.14 (3): 240–8। doi:10.1375/twin.14.3.240। PMID 21623654
  11. Farley SJ (মার্চ ২০১১)। "Sexual dysfunction: Postorgasmic illness syndrome"Nature Reviews Urology8 (3): 121। doi:10.1038/nrurol.2011.17। PMID 21513019
  12. "Dutch Doctor Identifies Post-Orgasmic Syndrome"Reuters Health। Amsterdam। Reuters। এপ্রিল ১২, ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫
  13. Negative allergy study in a case of postorgasmic illness syndrome (POIS), Revista Internacional de Andrología, Nathalie Depreux, Maria Basagaña, Mariona Pascal. https://doi.org/10.1016/j.androl.2017.06.002.
  14. Attia AM, Yasien HA, Al-Ziny MH (২০১৩)। "Post-orgasmic illness syndrome: a case report"F1000Research2 (113)। doi:10.12688/f1000research.2-113.v1
  15. Friedman, Richard A. (জানুয়ারি ১৯, ২০০৯)। "Sex and Depression: In the Brain, if Not the Mind"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫
  16. Shah A (জুলাই ২০০১)। "Asthma and sex." (PDF)Indian J Chest Dis Allied Sci.43 (3): 135–7। PMID 11529431
  17. "Weight For It & Desperate Measures"Strange Sex। 2 মৌসুম। মে ২২, ২০১১। TLC।
  18. Kim, Tae Beom; ও অন্যান্য (মার্চ ২০১৮)। "Intralymphatic Immunotherapy With Autologous Semen in a Korean Man With Post-Orgasmic Illness Syndrome"। Sexual Medicinedoi:10.1016/j.esxm.2017.12.004
  19. "Postorgasmic illness syndrome"Orphanet। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৫
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.