পিটার ১ দ্বীপ

পিটার ১ দ্বীপ (ইংরেজি: Peter I Island, নরওয়েজীয়: Peter I Øy)[1] হচ্ছে অ্যান্টার্কটিকা হতে ৪৫০ কিলোমিটার (২৮০ মা) দূরে বেলিংশাউসেন সাগরে অবস্থিত একটি জনমানবশূন্য আগ্নেয় দ্বীপ। এর উপর নরওয়ের ঔপনিবেশিক দাবী রয়েছে। এটি অ্যান্টার্কটিকা এবং উপঅ্যান্টার্কটিকায় নরওয়ের তিনটি উপনিবেশের একটি; বাকি দুটি হল রানী মড ল্যান্ড এবং বোভেট দ্বীপ। পিটার ১ দ্বীপ ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মা) দীর্ঘ, ১৯ কিলোমিটার (১২ মা) প্রশস্ত এবং ১৫৬ বর্গকিলোমিটার (৬০ মা) আয়তন বিশিষ্ট। ১,৬৪০-মিটার (৫,৩৮০ ফু) উচ্চতা বিশিষ্ট চরমোদগ্র লারস ক্রিস্টেনসেন শৃঙ্গ এ দ্বীপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। দ্বীপের প্রায় সম্পূর্ণই হিমবাহ দ্বারা আচ্ছাদিত এবং বছরের বেশীরভাগ সময় প্রবাহমান বরফ দ্বারা পরিবেষ্টিত, ফলে প্রায় সারা বছর জুড়েই এটি অনধিগম্য থাকে। সামুদ্রিক পাখি ও সীল ছাড়া এ দ্বীপে খুব সামান্যই জীববৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়।

পিটার ১ দ্বীপ
Peter I Øy
পতাকা
পিটার ১ দ্বীপের অবস্থান
সরকার ঔপনিবেশিক অঞ্চল
   প্রশাসন বিচার ও জন নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়
নরওয়েজীয় উপনিবেশ
   দাবিকৃত ২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯ 
   অন্তর্ভুক্ত ৬ মার্চ ১৯৩১ 
   উপনিবেশ ২৪ মার্চ ১৯৩৩ 
   অ্যান্টার্কটিক চুক্তি ২৩ জুন ১৯৬১ 
   মোট ১৫৪ কিমি
৫৯ বর্গ মাইল
   হিমায়িত ৯৫%
জনসংখ্যা
   আদমশুমারি জনমানবশূন্য
আইএসও ৩১৬৬ কোড AQ

২১ জানুয়ারি ১৮২১ সালে ফ্যাবিয়ান গটলিব ফন বেলিংশাউসেন সর্বপ্রথম এই দ্বীপটি দৃষ্টিগোচর করেন এবং রাশিয়ার প্রথম পিটারের নামে এর নামকরণ করেন। অতঃপর একশত বছরেরও বেশি সময় এই দ্বীপে কেউ অবতরণে সক্ষম হন নি, অবশেষে ২ ফেব্রুয়ারি ১৯২৯ সালে লারস ক্রিস্টেনসেনের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় নীলস লারসেনওলা ওলস্টাডের দ্বিতীয় নরভেজিয়া অভিযান এই দ্বীপে সর্বপ্রথম পৌঁছাতে সক্ষম হয়। তারা এই দ্বীপে নরওয়ের দাবী প্রতিষ্ঠা করেন, যা ১৯৩১ সালে একে নরওয়ে রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে এবং ১৯৩৩ সালে একে নরওয়ের একটি উপনিবেশে রূপান্তর করা হয়। এখানে পরবর্তী অবতরণের ঘটনা ঘটে ১৯৪৮ সালে, অতঃপর এখানে কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং সীমিত পরিমানে পর্যটন করা হয়। ১৯৬১ সালে দ্বীপটি অ্যান্টার্কটিক চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৮৭ সাল থেকে এই দ্বীপে একটি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন রয়েছে। তিনটি অপেশাদার বেতার অভিযান ডিএক্স-পেডিশন এই দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন এবং মাঝেমধ্যে অল্প সংখ্যক কিছু পর্যটক এখানে এসেছেন।

তথ্যসূত্র

  1. "Peter I Øy"Norwegian Climate and Pollution Agency। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.