জাস্টিন বিবার

জাস্টিন ড্রিউ বিবার (ইংরেজীতে: Justin Drew Bieber[5]) (ইংরেজি উচ্চারণ: /ˈbiːbər/ (অসমর্থিত টেমপ্লেট) BEE-bər, জন্ম মার্চ ১, ১৯৯৪)[6] একজন কানাডিয় সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার এবং সঙ্গীত প্রযোজক।[1][2][3] বিবার ২০০৯ সালের শেষের দিকে তার প্রথম এক্সটেন্ডেড প্লে মাই ওয়ার্ল্ড মুক্তি দেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম স্বীকৃতি লাভ করে। বিবার-ই প্রথম শিল্পী যার প্রথম অ্যালবামের সাতটি গান বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় স্থান করে নেয়।[7]

জাস্টিন বিবার
[[File:aaaaa|frameless|upright=1]]
প্রাথমিক তথ্য
জন্ম নামজাস্টিন ড্রিউ বিবার
উদ্ভবঅন্টারিও, কানাডা
ধরনপপ সঙ্গীত, কনটেম্পোরারি আরএন্ডবি[1][2][3]
পেশাসঙ্গীতশিল্পী, অভিনেতা
বাদ্যযন্ত্রসমূহকন্ঠশিল্পী, গিটার, পিয়ানো, ড্রামস[4]
কার্যকাল২০০৯-বর্তমান
লেবেলআইল্যান্ড রেকর্ডস, RBMG
সহযোগী শিল্পীআশার
ওয়েবসাইটjustinbiebermusic.com

বিবারের প্রথম পূর্ণ অ্যালবাম মাই ওয়ার্ল্ড ২.০ ২০১০ এর ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে এবং বেশ কয়েকটি দেশে শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম সনদে ভূষিত হয়। এই অ্যালবামের বেবি গানটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে। ইউটিউবের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সর্বাধিক প্রদর্শিত, আলোচিত এবং পছন্দিত ভিডিওগুলোর একটি হলো এই গানটির মিউজিক ভিডিও।[8] বিবারের পরবর্তি অ্যালবাম নেভার সে নেভার – দ্য রিমিক্সেস। এটি প্রকাশিত হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১। তার দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ছিল আন্ডার দ্য মিসলটো যা মুক্তি পায় ২০১১ সালের নভেম্বরে।

২০১২ সালে জাস্টিন বিবার প্রকাশ করে তার তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম বিলিভ। তার চতুর্থ অ্যালবাম পারপাস ২০১৫ সালের নভেম্বরে মুক্তি পায়। যুক্ত্রাষ্ট্রে তার অ্যালবাম ও গানের মোট বিক্রি সংখ্যা ৪৪.৭ মিলিয়ন।[9][10]

জাস্টিন বিবার বিগত কয়েক অসংখ্য পুরস্কার ও সাধুবাদ অর্জন করেছেন। ২০১০ অ্যামেরিকান মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস-এ বিবার বর্ষসেরা শিল্পীর পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ৫৩তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডস-এ শ্রেষ্ঠ নবীন শিল্পী ও বেস্ট পপ ভোকাল অ্যালবাম পুরস্কার দুইটির জন্য মনোনীত হন। বিবারের সঙ্গীত, চিত্র ইত্যাদি বিশ্বব্যাপী আলোচনা, সমালোচনা ও বিতর্কের বিষয় পরিণত হয়েছে।

প্রাথমিক জীবন

জাস্টিন বিবার ১৯৯৪ সালের ১ মার্চ কানাডার অন্টারিওর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন।[11] বিবারের মা প্যাটি ম্যালেট যখন গর্ভবতী হন, তখন তার বয়স ১৮। বিবারের মা সামান্য বেতনে বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করতেন। বিবারের বাবা জেরিমি বিবার পরবর্তিতে আরেক মহিলাকে বিয়ে করেন এবং তার আরও দুই সন্তান হয়।[12][13] বিবারের দাদা ছিলেন কানাডাতে অভিবাসী জার্মান নাগরিক।[14]

শৈশবে বিবার হকি, সকার এবং দাবাতে আগ্রহী ছিলেন। সেসময় তিনি সঙ্গীতের প্রতি উচ্চাকাঙ্খা পোষণ করতেন।[12] বিবার নিজে নিজে গীটার, ড্রাম, পিয়ানো বাজানো শেখেন।[15][16] ২০০৭ সালে বিবার স্থানীয় এক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।[16][17] বিবারের মা ম্যালেট বিবারের সেই পরিবেশনা ধারণ করে ইউটিউবে প্রকাশ করেন। ম্যালেট বিবারের অন্যান্য সঙ্গীত পরিবেশনাও অনুরূপভাবে ইন্টারনেটে প্রকাশ করতে থাকেন এবং ক্রমেই ইউটিউবে বিবারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।[18]

ক্যারিয়ার

২০০৮-১০: ক্যারিয়ারের সূচনা এবং মাই ওয়ার্ল্ড

২০০৮ সালে ইউটিউব দ্বারা বিবারের প্রতিভা স্কুটার ব্রাউনের নজরে আসে।[19] পরবর্তিতে স্কুটার ইউটিউবে বিবারের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেন। এছাড়া স্কুটার ব্রাউন পরে বিবারের ম্যানেজার হন। স্কুটার বিবারকে পরে আশারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। এর কিছুদিন পরই বিবার রেমন্ড ব্রাউন মিডিয়া গ্রুপ-এর সাথে চুক্তি করেন। পরবর্তিতে বিবার আইল্যান্ড রেকর্ড-এর সাথে চুক্তি করেন।[18][20] বিবারের প্রথম একক সঙ্গীত "ওয়ান টাইম" ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত হয় এবং কানাডায় শীর্ষস্থান দখল করে। এছাড়া গানটি অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয় হয়। তার প্রথম এক্সটেন্ডেড প্লে মাই ওয়ার্ল্ড ২০০৯ এর ১৭ নভেম্বরে প্রকাশিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্লাটিনাম সনদে ভূষিত হয়। বিবার-ই প্রথম শিল্পী যার প্রথম অ্যালবামের সাতটি গান বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় স্থান করে নেয়।[7]

২০১০–১১: মাই ওয়ার্ল্ড ২.০ এবং নেভার সে নেভার

২০১০ সালের জানুয়ারিতে তার প্রথম অ্যালবাম মাই ওয়ার্ল্ড ২.০ থেকে প্রথম একক "বেবি" গানটি মুক্তি পায়। গানটি আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা লাভ করে[21] এবং এর মাধ্যমে বিবার আন্তর্জাতিক বাজারের সেরা দশ শিল্পীর তালিকায় স্থান করে।.[22] তার দুইটি প্রমো গান "নেভার লেট ইউ গো", এবং "ইউ সমাইল" মার্কিন সেরা ১০০ গানের মধ্যে ৩য় এবং সেরা ২০ স্থান করে নেয়।[22] বিবারের প্রথম পূর্ণ অ্যালবাম মাই ওয়ার্ল্ড ২.০ ২০১০ এর ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়। অ্যালবামটি বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য অর্জন করে এবং বেশ কয়েকটি দেশে শীর্ষ দশে স্থান করে নেয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম সনদে ভূষিত হয়।

ডিস্কের তালিকা

স্টুডিও অ্যালবাম

  • মাই ওয়ার্ল্ড ২.০ (২০১০)
  • আন্ডার দ্য মিসলটো (২০১১)
  • বিলিভ (২০১২)
  • পারপাস (২০১৫)

সংকলন অ্যালবাম

  • মাই ওয়ার্ল্ড: দ্য কালেকশন
  • জার্নালস

এক্সটেন্ডেড প্লে

  • মাই ওয়ার্ল্ড

রিমিক্স অ্যালবাম

  • নেভার সে নেভার – দ্য রিমিক্সেস

অ্যাকুয়িস্টিক অ্যালবাম

  • মাই ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়িস্টিক
  • বিলিভ অ্যাকুয়িস্টিক
  • পারপাস অ্যাকুয়িস্টিক

চলচ্চিত্রের তালিকা

  • জাস্টিন বিবার:নেভার সে নেভার (২০১১)
  • ম্যান ইন ব্ল্যাক (২০১২)
  • কেটি পেরি:পার্ট অব মি (২০১২)
  • জেনডায়া:বিহাইন্ড দ্যা সিনস (২০১২)
  • জাস্টিন বিবার'স বিলিভ (২০১৩)
  • বিহেভিং ব্যাডলি (২০১৪)
  • জুল্যান্ডার ২ (২০১৬)
  • কিলিং হেসেলহফ (২০১৭)

ভ্রমণ (ট্যুর)

  • আরবান বিহেভিওর ট্যুর (২০০৯)
  • মাই ওয়ার্ল্ড ট্যুর (২০১০-২০১১)
  • বিলিভ ট্যুর (২০১২-২০১৩)
  • পারপাস ওয়ার্ল্ড ট্যুর (২০১৬-২০১৭)

তথ্যসূত্র

  1. "Justin Bieber Biography & Awards"Billboard। Nielsen Business Media, Inc.। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১৫
  2. Farber, Jim (মার্চ ২৩, ২০১০)। "Justin Bieber, 'My World 2.0'"New York Daily News। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-১৪
  3. Collar, Matt; Leahey, Andrew। "allmusic ((( Justin Bieber > Overview )))"AllmusicMacrovision Corporation। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২১, ২০০৯
  4. "MTV- Justin Bieber artist profile"MTV। MTV Networks। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ২২, ২০০৯
  5. Greenblatt, Leah (মার্চ ১০, ২০১০)। "My World 2.0 (2010)"Entertainment Weekly। Time। সংগ্রহের তারিখ জুন ১১, ২০১০
  6. inogolo:how to pronounce Justin Bieber.
  7. "Justin Bieber Fever Hits Miami"CBS News। CBS Interactive। ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ২৭, ২০১০
  8. "Top 10 YouTube Videos of All Time"। Readwriteweb.com। ২০১১-০২-০৯। ২০১১-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২৪
  9. Lipshutz, Jason (আগস্ট ২৭, ২০১৫)। "Justin Bieber, on the Comeback Trail, Back in 'Good Graces' of Fans and Industry"BillboardPrometheus Global Media। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৭, ২০১৫
  10. "Justin Bieber"riaa.com। RIAA। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১২-২৩
  11. "Bieber - Birth Certificate" (PDF)। TMZ.com। ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২১
  12. Hoffman, Jan (ডিসেম্বর ৩১, ২০০৯)। "Justin Bieber is Living the Tween Idol Dream"The New York Times। The New York Times Company।
  13. Bartolomeo, Joey (জুন ২০, ২০১০)। "Meet Justin Bieber's Rockin' Dad"People। Time Inc.।
  14. “”। "Justin Bieber interview on German television"। Youtube.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১২-৩১
  15. Parvis, Sarah E (২০১০)। Justin Bieber। Kansas, Mo. : Andrews McMeel ; London : Simon & Schuster। পৃষ্ঠা 13–17। আইএসবিএন 9781449401818। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৪
  16. Colurso, Mary (ডিসেম্বর ১৭, ২০১০)। "Temperature's rising as Justin brings Bieber fever to Birmingham"। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১১, ২০১১
  17. Mitchell, Gail (২০০৯-০৪-২৮)। "Usher Introduces Teen Singer Justin Bieber"Billboard। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৩
  18. Herrera, Monica (জুলাই ১৩, ২০০৯)। ""Time" is right for teen singer Justin Bieber"Reuters। Thomson Reuters। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২২, ২০০৯
  19. Konjicanin, Anja (ডিসেম্বর ২৪, ২০১০)। "Justin Bieber makes them proud. But why?"। Vaver Observer। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১১, ২০১১
  20. Mitchell, Gail (এপ্রিল ২৮, ২০০৯)। "Usher Introduces Teen Singer Justin Bieber"Billboard। e5 Global Media। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০০৯
  21. "Justin Bieber - Chart History"। Billboard।
  22. "Justin Bieber Chart History"Billboard। e5 Global Media। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০১০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.