২০১৯ বালাকোট বিমান হামলা

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে বলেন ২০১৯ সালের পুলওয়ামা আক্রমণের পরে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) বালাকোটের একটি জাইশ-ই-মোহাম্মদ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের বিরুদ্ধে "অ-সামরিক" এবং "অগ্রক্রয়াধিকার-সংক্রান্ত" হামলার পরিচালনা করেছিল। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে "আসন্ন বিপদ" সহ সন্ত্রাসীদী আক্রমণের কথাভেবে ভারতীয় বিমান বাহিনী বিমান হামলা চালায়। তিনি দাবি করেন, হামলার ফলে জইশ-ই-মুহাম্মদ জঙ্গি সংগঠনের কর্মীরা নিহত। তিনি বলেন যে গোয়েন্দা সূত্র অনুসরণ করে নাগরিকদের ক্ষতি কমিয়ে লক্ষ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল বোমা ফেলার জন্য।[16]

এর আগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভারতীয় বিমানের দ্বারা আকাশ সীমা লঙ্ঘন সম্পর্কীত পাকিস্তানি অভিযোগ সম্পর্কে তার কাছে কোন তথ্য ছিল না।[17]

এই আক্রমণের সময় অবশ্য পাকিস্তানের বিমান বাহিনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর (পিএইচএফ) বিমানগুলির দ্বারা আক্রমনের ফলে ভারতীয় বিমানগুলি নিয়ন্ত্রন রেখা জুড়ে দ্রুতগতিতে পিছু হটেছিল।[18] এই পাক বাহিনীর প্রক্রিয়াতে একটি উন্মুক্ত অঞ্চলে জ্বালানী ডাম্প সহ তাদের পেলোডগুলি ফেলেদেয় ভারতীয় বিমান বাহিনী - যার ফলে কোনও ক্ষতি বা ক্ষতি হয়নি।এসময় দুটি মিরাজ ২০০০ বিধ্বস্ত করে পাকিস্তান এয়ারফোর্স। একজন ভারতীয় পাইলটকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান আর্মি। [19][20][21][22]

চীন-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কাং বলেছেন, "আমরা আশা করি ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই সংযমী ব্যবহার করবে এবং এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যা অঞ্চলের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়তা করবে"।[23]