মেঘ
মেঘ বলতে পৃথিবী অথবা অন্য কোনো গ্রহ, উপগ্রহ ইত্যাদির আবহমন্ডলে ভাসমান দৃশ্যমান স্ফটিক অথবা জলকণার সমষ্টিকে বোঝায়। মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে আকৃষ্ট দৃশ্যমান কোনো ভরকেও মেঘ বলা যেতে পারে, যেমন মহাশূন্যে ছড়িয়ে থাকা ইন্টারস্টেলার মেঘ এবং নীহারিকা। আবহাওয়া বিজ্ঞানের নেফোলজি বা মেঘ বিজ্ঞান শাখায় মেঘ নিয়ে চর্চা এবং গবেষণা করা হয়।


মেঘের শ্রেণীবিন্যাস
আবহাওয়া |
---|
প্রকৃতি সিরিজের অংশ |
ঋতু |
ক্রান্তীয় মোসুম |
|
ঝড়সমূহ |
বর্ষণ |
টপিক |
|
![]() |

মেঘেদের দুটি বড় শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: স্তরীভূত ও পরিচলনশীল। এই নামগুলো মেঘের আচরণ আলাদা করে। মেঘকে তার পাদদেশের উচ্চতা দিয়ে শ্রেণীবিভক্ত করা হয়, চূড়ার উচ্চতা দিয়ে নয়। এই ব্যবস্থাটি ১৮০২ সালে লিউক হাওয়ার্ড আস্কেসিয়ান সোসাইটিতে প্রস্তাব করেন।
উঁচু মেঘ (গোত্র ক)
- অলক-স্তুপ
- অলক মেঘ
- অলক-স্তর
মধ্য উচ্চতার মেঘ (গোত্র খ)
- উচ্চ-স্তর
- উচ্চ-স্তুপ
নিচু মেঘ (গোত্র গ)
এই মেঘ ২,০০০ মি (৬,৫০০ ফুট) উচ্চতা পর্যন্ত পাওয়া যায় এবং এই শ্রেণীতে আছে স্তর মেঘ (ঘন ও ধূসর)। স্তর মেঘ মাটির সংস্পর্শে আসলে তাকে কুয়াশা বলা হয়।
গ গোত্রের মেঘের মধ্যে রয়েছে:
- স্তুপ[1] (Cu)
- স্তর (St)
- স্তর-স্তুপ (Sc)
- নীরদ-স্তর (Ns)
- নীরদ-স্তুপ (Ns)

উলম্ব মেঘ (গোত্র ঘ)


এই মেঘ শক্তিশালী ঊর্ধ্ব-প্রবাহ লাভ করতে পারে এবং ভিত্তি হতে বহু উপরে উঠে নানা রকম আকৃতি তৈরি করতে পারে।
ঘ গোত্রের মেঘের মধ্যে আছে:
- নীরদ-স্তুপ (বজ্রবিদ্যুৎ ও প্রবল বর্ষণবাহী) (Cb)
- কিউমুলোনিম্বাস ক্যালভাস
- কিউমুলোনিম্বাস ইনকাস
- ম্যামাটাসযুক্ত কিউমুলোনিম্বাস
- স্তুপ (Cu)[2][3][4]
- Cumulus congestus
- পাইরোকিউমুলাস

তথ্যসূত্র
- "Plymouth State Meteorology Program Cloud Boutique"।
- "Cloud Types: common cloud classifications"। WW2010। University of Illinois।
- "cloud: Classification of Clouds"। Infoplease.com।
- উচ্চ-মাধ্যমিক কিশোর ভূগোল — বৃন্দাবনচন্দ্র রায় (বাণী সংসদ, কোলকাতা, ৯ম সংস্করণ, ২০০২)