মুসলিমদের পারস্য বিজয়

মুসলিমদের পারস্য বিজয় (আরবদের ইরান বিজয় বলেও পরিচিত[2]) ৬৫১ সালে সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়। এই বিজয়ের ফলে ইরানে জরস্ট্রিয়ান ধর্মের প্রভাব কমে আসে। মুসলিমরা ৬৩৩ সালে সাসানীয় অঞ্চলে আক্রমণ করে। এসময় খালিদ বিন ওয়ালিদ বর্তমান ইরাকের অংশ মেসোপটেমিয়ায় হামলা চালান। তৎকালীন সময় এই অঞ্চল ছিল সাসানীয় সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র।[3] সিরিয়ার রোমান যুদ্ধক্ষেত্রে খালিদকে বদলি করে পাঠানো হলে ইরানিদের পাল্টা আক্রমণে মুসলিমরা তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটে। ৬৩৬ সালে সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাসের নেতৃত্বে দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান শুরু হয়। কাদিসিয়ার যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে সাসানীয় অঞ্চলে মুসলিমরা স্থায়ীভাবে আধিপত্য লাভ করে। এরপর জগ্রোস পর্বতমালা রাশিদুন খিলাফতসাসানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে প্রাকৃতিক বাধা ও সীমানা হিসেবে কাজ করে। পারসিয়ানদের ক্রমাগত আক্রমণ চলতে থাকায় ৬৪২ সালে খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব সাসানীয় সাম্রাজ্যে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের নির্দেশ দেন। ৬৫১ সালে এই জয় সম্পন্ন হয়। পারস্য বিজয় খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের অন্যতম বড় অর্জন ছিল। তিনি মদিনা থেকে এই অভিযানের সফল দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন যা তার সামরিক ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে।[4]

মুসলিমদের পারস্য বিজয়
মূল যুদ্ধ: মুসলিম বিজয়

মুসলিমদের অভিযানের সময় পারস্য ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানচিত্র
তারিখ৬৩৩-৬৫৪[1]
অবস্থানমেসোপটেমিয়া, ককেসাস, পারস্য, ও বৃহত্তর খোরাসান
ফলাফল মুসলিমদের বিজয়
অধিকৃত
এলাকার
পরিবর্তন

  • সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন
  • তাবারিস্তানে বিভিন্ন রাজবংশের উত্থান
যুধ্যমান পক্ষ
সাসানীয় সাম্রাজ্য
ককেসিয়ান আলবেনিয়া (৬৩৩–৬৩৬)
আরব খ্রিষ্টান (৬৩৩–৬৩৭)
কানারাঙ্গিয়ান (৬৩৩–৬৫১)
ইসপাহবুদান পরিবার (৬৩৩–৬৫১)
হেফথালিয় (৬৫১–৬৫৪)
মিহরান পরিবার (৬৩৩–৬৫১)
কারিন বংশ (৬৩৩–৬৫৪)
দাবুয়ি রাজবংশ (৬৪২–৬৫১)
রাশিদুন খিলাফত
কানারাঙ্গিয়ান (৬৫১ এর পর)
সেনাধিপতি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Pourshariati (2008), pp. 469
  2. http://www.iranicaonline.org/articles/arab-ii
  3. Between Memory and Desire: The Middle East in a Troubled Age (p. 180)
  4. The Muslim Conquest of Persia By A.I. Akram. Ch: 1 আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫৯৭৭১৩-৪, 9780195977134
  • Bashear, Suliman (১৯৯৭)। Arabs and Others in Early Islam। Darwin Press। আইএসবিএন 978-0-87850-126-7।
  • Boyce, Mary (২০০১)। Zoroastrians: Their Religious Beliefs and Practices। Psychology Press। আইএসবিএন 978-0-415-23902-8।
  • Daniel, Elton (২০০১)। The History of Iran। Greenwood Press। আইএসবিএন 978-0-313-30731-7।
  • Donner, Fred (১৯৮১)। The Early Islamic Conquests। Princeton। আইএসবিএন 978-0-691-05327-1।
  • Morony, M. (১৯৮৭)। "Arab Conquest of Iran"Encyclopaedia Iranica। 2, ANĀMAKA – ĀṮĀR AL-WOZARĀʾ।
  • Sicker, Martin (২০০০)। The Islamic World in Ascendancy: From the Arab Conquests to the Siege of Vienna। Praeger। আইএসবিএন 978-0-275-96892-2।
  • Spuler, Bertold (২০০৩)। Persian Historiography and Geography: Bertold Spuler on Major Works Produced in Iran, the Caucasus, Central Asia, India and Early Ottoman Turkey। Singapore: Pustaka Nasional। আইএসবিএন 978-9971-77-488-2। অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য)
  • Zarrinkūb, Abd Al-Husain (১৯৭৫)। "The Arab Conquest of Iran and its Aftermath"Frye, Richard Nelson। Cambridge History of Iran। The Period from the Arab Invasion to the Saljuqs। Cambridge University Press। doi:10.1017/CHOL9780521200936.002 |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  • Zarrin'kub, Abd al-Husayn (১৯৯৯)। Ruzgaran: tarikh-i Iran az aghz ta saqut saltnat Pahlvi। Sukhan। আইএসবিএন 978-964-6961-11-1।

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Ancient Mesopotamia

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.