প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বাংলাদেশের একটি বৃহৎ খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। রংপুরে ১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) পথচলা শুরু। এই গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেন আমজাদ খান চৌধুরী[1]

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ
বেসরকারি
শিল্পখাদ্য প্রক্রিয়াজাত
প্রতিষ্ঠাকাল১৭ মার্চ, ১৯৮১
প্রতিষ্ঠাতামেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী
সদরদপ্তরপ্রাণ-আরএফএল সেন্টার, ১০৫, প্রগতি স্বরণি, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
বাণিজ্য অঞ্চল
দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য
প্রধান ব্যক্তি
মরহুম মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী (সিইও)
পণ্যসমূহজুস, পানীয়,স্নাকস্
কর্মীসংখ্যা
১,১০,০০০
ওয়েবসাইটpranfoods.net
www.rflbd.com

প্রতিষ্ঠানসমূহ

ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু করেও আজকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে ২৫টিরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক লিমিটেড দুটি কোম্পানি। এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড ও রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড(আরএফএল)। এ ছাড়া প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেড, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড, প্রাণ এক্সপোর্টার্স লিমিটেড, আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেডসহ ২৫টির বেশি কোম্পানি রয়েছে। [1]

পণ্য

খাদ্য ও প্লাস্টিক-এ দুটি খাতে সর্বাধিক বহুমুখী পণ্য উৎপাদিত হয়। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্লাস্টিক খাতে আছে এক হাজার পাচঁশত পণ্য। খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট লাইনে রয়েছে ৫০০টিরও বেশি পণ্য। দেশজুড়ে বিস্তৃত ১০টি অত্যাধুনিক কারখানায় এসব পণ্য উৎপাদিত হয়।[1]

জনবল

সারাদেশে প্রাণ-আরএফএল এর কারখানাগুলোতে কাজ করছে প্রায় ৮৫ হাজারের বেশি নারী-পুরুষ। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল আরো ৭৪ হাজারের বেশি পরিবারের জীবন ও জীবিকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৭ লাখেরও অধিক জনগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ওপর নির্ভরশীল। [1]

অর্জন

বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ১৪১টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হয় এই গ্রুপের পণ্য। কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাতকারী ও রপ্তানিকারক এ প্রতিষ্ঠান। যার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ২০১০-১১ অর্থবছরসহ টানা দশবার শেষ্ঠ জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে। জাতীয় রপ্তানি বৃদ্ধি এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় রপ্তানি খাতে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক শ্রেষ্ঠ জাতীয় রপ্তানী ট্রফি (স্বর্ণ) পায় প্রাণ এক্সপোর্টার্স লিমিটেড। একই অর্থবছরে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড শ্রেষ্ঠ জাতীয় রপ্তানী ট্রফি (রৌপ্য) পদকও পায়।[2] এছাড়া ২০১২-১৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মূল্য সংযোজন কর পরিশোধকারী হিসেবে আরএফএলকে সম্মাননা দেয় সরকার। [3]

২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির জন্য স্বর্ণপদক পায় আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বঙ্গ প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ ছাড়া ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে আরএফএল গ্রুপের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ডিউরেবল প্লাস্টিকস লিমিটেড।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "প্রাণ আরএফএল গ্রুপ"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৯ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
  2. "বাংলানিউজ"। ১৫ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৪
  3. জাগোনিউজ
  4. "রপ্তানিতে স্বর্ণপদক পেল আরএফএল"দৈনিক প্রথম আলো। ২ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.