ইন্দো-ইউরোপীয় অভিপ্রয়াণ

ইন্দো-ইউরোপীয় অভিপ্রয়াণ বলতে প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাভাষী মেষপালক বা রাখালী জীবন যাপনকারী জনগোষ্ঠীর অভিপ্রয়াণ বোঝানো হয়, যারা ইয়াম্‌নায়া এবং তদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য পন্টিক-কাস্পিয়ান প্রান্তরের সংস্কৃতির এলাকা থেকে আনুমানিক ৪০০০ খ্রী.পূ. হতে অভিপ্রয়াণ শুরু করে। তাদের উত্তরসূরিরা ইউরোপের অধিকাংশে ও এশিয়ার কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাদের অভিপ্রয়াণের পথে নতুন সংস্কৃতি ও সভ্যতা সৃষ্টি করতে করতে অগ্রসর হয়, যেমন উত্তর ইউরোপে তন্ত্রীত পণ্য সংস্কৃতি এবং উত্তর ভারতে বৈদিক সংস্কৃতি। এই মহাঅভিপ্রয়াণ দ্বারাই ইউরোপ, বৃহত্তর ইরান ও ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান ভাষা ও সংস্কৃতি নির্ধারিত হয়, এবং এর ফলে পরবর্তীকালে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা পরিবার সৃষ্টি হয়।

কুরগান তত্ত্ব অনুযায়ী ৪০০০ খ্রী.পূ. হতে ১০০০ খ্রী.পূ. পর্যন্ত ইন্দো-ইউরোপীয় অভিপ্রয়াণের রূপরেখা
  অনুমিত আদিমাতৃভূমি (সামারা সংস্কৃতি, স্রেড্‌নি স্টগ সংস্কৃতি) এবং এর পরবর্তী ইয়াম্‌না সংস্কৃতি.
  ২৫০০ খ্রী.পূ. পর্যন্ত স্থায়ী বসতি গড়ে ওঠা সম্ভাব্য এলাকা।
  ১০০০ খ্রী.পূ. পর্যন্ত স্থায়ী বসতি গড়ে ওঠা এলাকা।[1]

তথ্যসূত্র

  1. Beckwith 2009, পৃ. 30।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.