ঢাকা মেট্রো

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে নির্মিতব্য ভূ-উপরিস্থ রেল ব্যবস্থার নাম ঢাকা মেট্রো। ঢাকা মেট্রো রেল ব্যবস্থাকে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানযিট সংক্ষেপে এমআরটি (MRT) হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ২০০০ সাল থেকে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমঃবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দু:সহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানযিট ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয় যার নাম ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট। ২০১৬ থেকে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২২ হাজার কোটি টাকা যার মধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র প্রকল্প ঋণ ৭৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ২৫ শতাংশ।[4] ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা। বাকি পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে সরকার। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এই অগ্রাধিকার প্রাপ্ত প্রকল্পটির নয়টি টেস্ট পাইলের কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। শুরু করা হয়েছে মূল পাইলের কাজ। একই সঙ্গে কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট এলাকায় সার্ভিস লাইন সরানোর কাজও চলমান। একই প্রকল্পের মিরপুর-শেওড়াপাড়া-আগারগাঁও অংশে ডিভাইডার দিয়ে মূল লাইন স্থাপনের জন্য জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে। রাস্তার আইল্যান্ড বরাবর এবং এর দুই পাশ থেকে জায়গা সংরক্ষণ করে মূল পাইলের কাজ শুরু হয়েছে এ অংশে। মেট্রোরেলের যাত্রী পারাপারের জন্য রেলকোচ তৈরির কাজ ইতিমধ্যে জাপানে শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের লাইন-৬ এর পুরো কাজ আটটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার উড়ালপথ ও নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পরে এই উড়ালপথের ওপরই ট্রেনের জন্য লাইন বসানো হবে |

ঢাকা মেট্রো
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অবস্থানঢাকা, বাংলাদেশ
পরিবহনের ধরনদ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা
চক্রপথের (লাইনের)
সংখ্যা
৬ (পরিকল্পিত: MRT লাইন ১-৬)
বিরতিস্থলের (স্টেশন)
সংখ্যা
১৬ টি
দৈনিক যাত্রীসংখ্যাঘন্টায় ৬০,০০০ মানুষ [1]
ওয়েবসাইটDMTC
সম্ভাব্য চালুর তারিখ২০১৯ এর শেষ দিকে[2] (ধারণা করা হচ্ছে)
কারিগরি তথ্য
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য২০.১ কিমি [3] (MRT line 6)
রেলপথের গেজআদর্শ গজ
গণপরিবহন ব্যবস্থার মানচিত্র

প্রকল্প বর্ণনা

২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট তথা মেট্রো রেল প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন লাভ করে। ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ প্রকল্পে ব্যয় সংশ্লেষ ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা হবে বলে প্রাক্কলন করা হয়। এর মধ্যে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা দেবে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল চালু হলে দুই দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। থাকবে ১৬টি স্টেশন।[5]

মেট্রো রেল ব্যবস্থায় প্রথম ধাপে প্রতিদিন ২৪টি ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে ট্রেনগুলো। প্রতি ট্রেনে থাকবে ছয়টি বগি। একটি ট্রেনে এক হাজার ৬৯৬ জন যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বসে যেতে পারবেন ৯৪২ জন, বাকীরা দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন। একটি স্টেশনে ট্রেন অবস্থান করবে ৪০ সেকেন্ড। যাত্রীরা ফুটপাত থেকে সিঁড়ি, এসকেলেটর কিংবা লিফটে উঠতে পারবেন ট্রেনে। মেট্রো রেলের প্রতিটি পিলারের ব্যাস হবে দুই মিটার, ভূগর্ভস্থ অংশের ভিত্তি হবে তিন মিটার ও উচ্চতা হবে ১৩ মিটার। একটি স্তম্ভ থেকে আরেকটির দূরত্ব হবে ৩০ থেকে ৪০ মিটার। স্তম্ভের ওপরে পাশাাপাশি ও সমান্তরাল দুটি রেলপথ থাকবে এবং লাইনগুলোর প্রস্থ হবে প্রায় ৯.১ মিটার। [5]

মেট্রো রেলের চূড়ান্ত রুট অ্যালাইনমেন্ট হলো- উত্তরা তৃতীয় ধাপ-পল্লবী, রোকেয়া সরণির পশ্চিম পাশ দিয়ে (চন্দ্রিমা উদ্যান-সংসদ ভবন) খামারবাড়ী হয়ে ফার্মগেট-সোনারগাঁও হোটেল-শাহবাগ-টিএসসি-দোয়েল চত্বর-তোপখানা রোড থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত। এ রুটের ১৬টি স্টেশন হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, আইএমটি, মিরপুর সেকশন-১০, কাজীপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, জাতীয় জাদুঘর, দোয়েল চত্বর, জাতীয় স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংক। ট্রেন চালানোর জন্য বিদ্যুৎ নেওয়া হবে জাতীয় গ্রিড থেকে। ঘণ্টায় দরকার হবে ১৩.৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এর জন্য উত্তরা, পল্লবী, তালতলা, সোনারগাঁ ও বাংলা একাডেমি এলাকায় পাঁচটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থাকবে।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটির প্রথম ধাপ চালু হবে পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত। এই ১১ কিলোমিটার রেলপথ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ২০১৯ সালের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে সোনারগাঁও হোটেল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত ৪.৪০ কিলোমিটার পথ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে ২০২০ সালে। তৃতীয় পর্যায়ে পল্লবী থেকে উত্তরা পর্যন্ত ৪.৭ কিলোমিটার চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে ২০২২ সালে।[5]

ঢাকা মেট্রো রেলের একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং গমনপথ সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদিও এখনও এর নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। অনেক প্রতিষ্ঠানের রুট প্রান্তিককরণে আপত্তি থাকায় কাজটির অগ্রগতি এখন স্থগিত রয়েছে। প্রথম রুটের জন্য চুক্তি ছিল  (এমআরটি লাইন ৬) ২০.১ কিলোমিটারের (১২.৫ মাইল),[6] যার খরচ ছিল $২.৮ বিলিয়ন, এবং চুক্তিটি সরকার জাপান  আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সির সাথে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে স্বাক্ষর কর।[7] প্রথম রুট পল্লবী থেকে শুরু হবে, যা সায়েদাবাদ থেকে ঢাকার একটি উত্তর শহরতলী, রাজধানীর দক্ষিণে অবস্থিত।[8] মেট্রো রেলের অধিকাংশই বর্তমান সড়ক এর উপরে নির্মাণ করা হবে, স্টেশনও উপরে নির্মাণ করা হবে। ভারতের দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন একটি প্রকল্পের একটি পরামর্শক হিসেবে কাজ করবে।

ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভিডিওতে সিস্টেমের স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করার পরিকল্পনা প্রদর্শন প্রদর্শিত হবে।

যেহেতু মে ২০১৫-এ লাইনের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজটি প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তাই প্রথম ও দ্বিতীয় সেকশনের কাজ যথাক্রমে নভেম্বর ২০১৬ ও জুলাই ২০১৭-এ শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে|প্রতি চার মিনিট পরপর এক হাজার ৮০০ যাত্রী নিয়ে চলবে মেট্রোরেল। প্রতি ঘণ্টায় যাত্রী পরিবহন করবে প্রায় ৬০ হাজার। ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের মতো। ২০২২ সালের মধ্যেই জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) চলমান মেট্রোরেলের কাজ শেষ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত জাইকার তত্ত্বাবধানে মেট্রোরেলের (ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, এমআরটি-৬) কাজ চলছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রীর সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি,২০১৯ সোমবার বিকেলে হিতোশি হিরাতার নেতৃত্বে তিন সদস্যের জাইকার একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন। তখন জাইকার প্রতিনিধি দল পরিকল্পনা মন্ত্রীকে জানান, তারা ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারবে।

রুটম্যাপ

ঢাকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় (এসটিপি) ২০২৪ সালের মধ্যে তিনটি পথে মেট্রো রেল চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হলো, উত্তরা-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-খিলগাঁও হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত, গুলশান-মিরপুর-মোহাম্মদপুর-ধানমণ্ডি-তেজগাঁও-রামপুরা-বাড্ডা-বারিধারা হয়ে গুলশান পর্যন্ত এবং উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে পল্লবী হয়ে রোকেয়া সরণি-খামারবাড়ী-ফার্মগেট-হোটেল সোনারগাঁও-শাহবাগ-টিএসসি হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পর্যন্ত। এর মধ্যে শেষের পথটিতে মেট্রো রেল স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ২০১৯ সাল নাগাদ এ পথেই চলাচল করবে স্বপ্নের সেই ট্রেন। বাকি দুই পথে এখনো সম্ভাব্যতা যাচাই হয়নি।

তবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সর্বশেষ সমীক্ষানুসারে, ঢাকায় পরিবহনের চাহিদা বাড়ায় তিনটি রুটে মেট্রো রেল দ্রুত নির্মাণের পাশাপাশি আরেকটি পথ চালু করতে হবে। জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী-উত্তরা-বিমানবন্দর সড়ক-প্রগতি সরণি-মালিবাগ-আউটার রিং রোড-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-নারায়ণগঞ্জ রুটে চালু করতে হবে মেট্রো রেল। জাইকা ২০৫০ সাল পর্যন্ত ঢাকা শহরের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে সমীক্ষা করেছে। নিচের টেবিলে ঢাকা ট্রানজিট সমন্বয়ক বোর্ড -এর ভিডিও থেকে সাম্প্রতিক তথ্য দেওয়া হলোঃ

MRT লাইন ৬
Legend
উত্তরা উত্তর (ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ)
উত্তরা মধ্য (ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ)
উত্তরা দক্ষিণ (ভবিষ্যতে সম্প্রসারণ)
পল্লবী
মিরপুর ১১
মিরপুর ১০
কাজিপাড়া
শ্যাওড়াপাড়া
আগারগাঁও
বিজয় সরণী
ফার্মগেট
কারওয়ান বাজার
শাহবাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সচিবালয়
মতিঝিল
MRT লাইন ৫
Legend
সোনারগাঁও
নামহীন
নামহীন
বনশ্রী
নামহীন
নামহীন
বাড্ডা
গুলশান
বনানী
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ
ইব্রাহীমপুর
নামহীন
সেকশন ১০
চিড়িয়াখানা
মিরপুর
আদাবর
ধানমন্ডি
নামহীন
সোনারগাঁও
MRT লাইন ৪
Legend
উত্তরা
বিমানবন্দর প্রবেশপথ
বিমানবন্দর দক্ষিণ
খিলক্ষেত
নামহীন
নামহীন
আর্মি স্টেডিয়াম
বনানী
মহাখালী
নামহীন
তেজগাঁও
নামহীন
মগবাজার
খিলগাঁও
কমলাপুর
নামহীন
সায়দাবাদ

রুট পরিবর্তন

যোগাযোগ মন্ত্রাণালয় প্রথম ধাপের মেট্রো রেলের রুটের সামান্য পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।[3]

বাস্তবায়ন অগ্রগতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ২৪ জুন দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৬ জুলাইতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির জঙ্গি হামলার ঘটনার পর মেট্রোরেলের কাজ কিছুটা স্থবির হয়ে পড়েছিল। ৭ জন জাপানি কনসালটেন্ট নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ায় গতি স্তিমিত হয়ে যায়। বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়ে যায়। পরবর্তীকালে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।[4]

প্রকল্পের অধীনে মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ নির্মাণের জন্য ২০১৭ এর মে মাসে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশনের সঙ্গে সিপি-২ চুক্তি হয়। ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সিপি-৩ ও ৪ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. মোফাজ্জেল হোসেনের ভাষ্য অনুযায়ী এমআরটি লাইন-৬ এর আওতায় মেট্রোরেলের লাইন, স্টেশন ও ডিপো সম্পর্কিত আলাদা তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সিপি-২, সিপি-৩, সিপি-৪ - এ তিন প্যাকেজের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার কোটি টাকা। [9]

ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট-এর এমআরটি-৬ পর্যায়ের উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রেলপথ আগামী বছরের ডিসেম্বরে চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রো রেল পথ বসানো ও তা চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ স্থাপিত হবে খুঁটির ওপর। [10]

তথ্যসূত্র

চিত্রশালা

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.