এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (জন্মঃ আগস্ট ১৪, ১৯৫৯) রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশের বর্তমান মেয়র এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক ও জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামারুজ্জামান হেনার পুত্র।[1][2][3] তিনি ২০১৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী হন এবং জয়লাভ করেন। এর আগে তিনি ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি উক্ত পদে অধিষ্টিত ছিলেন।

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন
জন্ম (1959-08-14) ১৪ আগস্ট ১৯৫৯
জাতীয়তাবাংলাদেশী
যেখানের শিক্ষার্থীকলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ * আইনজীবি
আদি নিবাসরাজশাহী, বাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
পিতা-মাতা

জন্ম ও বংশ পরিচয়

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে এক বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এএইচএম কামারুজ্জামান এবং মাতার নাম জাহানারা বেগম। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে লিটন চতুর্থ এবং ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। বংশগত ভাবে লিটনের পরিবার রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বাবা এএইচএম কামারুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লিটনের দাদা আবদুল হামিদ মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন রাজশাহী অঞ্চলের মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল হামিদের পিতার নাম হাজ্বী লাল মোহাম্মাদ। রাজশাহী গলুই এর জমিদার হাজ্বী লাল মোহাম্মদ কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি রাজশাহী থেকে পর পর দুবার লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (এমএলসি) সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাজশাহী এসোসিয়েশন ও বরেন্দ্র একাডেমীর একমাত্র মুসলিম সদস্য ছিলেন। লিটনের বড় মেয়ে আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষালাভ

এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। এরপর উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য তিনি ভারতে যান। সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে তিনি তার প্রথম স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে দ্বিতীয় বারের মত স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পেশাগত জীবন শুরু হয় আইনজীবি হিসেবে। ১৯৮৫ সালে তিনি তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন। আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ যোগদানের মাধ্যমে। ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে সংসদীয় আসন রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "RCC to establish university"New Age। ২০১২-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪
  2. "Nagorik Committee backs Liton"The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪
  3. "Liton to contest in next Mayoral election"Bangladesh Sangbad Sangstha। ২০১৩-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৪
  4. "Mayor's Profile"। City portal of Rajshahi। ২০১৪-০৭-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.